আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগেঞ্জর বাজিতপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হওয়া কিশোরচালক মো. রাব্বীর (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে বাজিতপুর থানা পুলিশ। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী রস্তমপুর গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত ৭ জুলাই বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় রাব্বী। পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন বাজিতপুর থানায় জিডি করেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংবাদমাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সে সময়ই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হাফানিয়া গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাচ্চু (১৮) অটোরিকশাসহ রাব্বীর নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত সাচ্চু প্রভাবশালী পরিবারের হওয়ায় পুলিশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অভিযুক্ত সাচ্চুর বাড়িসংলগ্ন প্রয়াত মোহন মেম্বারের বসতবাড়ির সেফটিক ট্যাংকে নিখোঁজ রাব্বীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাচ্চুসহ পুরো পরিবার পলাতক রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নিখোঁজ রাব্বীর লাশ পাওয়া যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্ত সাচ্চুর বাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের বড় ভাই এসএন সাদেক কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, গত ৭ জুলাই বিকালের দিকে অটোরিকশাটিকে রিজার্ভ হিসেবে ভাড়া করে সাচ্চু রাব্বীকে শহরে নিয়ে যায়। তাদের ধারণা, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেওয়ায় রাব্বীকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাব্বীর লাশ গুম করে ফেলে।
এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে এবং অটোরিকশাটি উদ্ধার করতে পুলিশ কাজ করছে।
সূত্র : সমকাল