আবু মুছা স্বপন, ধামইরহাট (নওগাঁ) ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় ৩ জনের জেল প্রদান করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার উমার ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেণির ছাত্রী জীবন আক্তার রুহী (১৩) আত্মীয়ের বাসায় চকমহেশ গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখানে একই গ্রামের ফুফাতো ভাই চকমহেশ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রশিদুল ইসলাম (২৬) জোর করে মেয়েটির সাথে বিয়ের আয়োজন করে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২০ জুলাই দিবাগত রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গনপতি রায়, ওসি আবদুল মমিন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, এসআই মহসীন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ের আয়োজন পণ্ড করে দেন। এ সময় নাবালিকা কিশোরীকে বিয়ে করতে আসার অপরাধে বর রশিদুল ইসলামের (২৬) ৬ মাস জেল, বিয়ের সহযোগিতা করায় বোন লাভলী আকতারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল এবং বরের অভিভাবক (চাচী) আতোয়ার রহমানের স্ত্রী টপি আরাকে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতার দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী জানান, করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় নিয়মিতভাবে বাল্য বিবাহ বন্ধে যেভাবে জোরালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন, তা অনুকরণীয়। বাল্য বিয়ে বন্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা ও অভিভাবক মহলের সচেতনতাই যথেষ্ট।