ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে রাতভর বৃষ্টিতে সারাদেশের মতো ধামইরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে পৌর সদরের প্রায় ২০টি পরিবার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাতের ঘুম হারাম করে ভুক্তভোগীরা দিগ্বিদিক ছুটাছুটির করুণ্য দৃশ্য যেন দেখার কেউ ছিল না। কারণ প্রতিবেশী প্রতিটি বাড়ীতেই ছিল একই অবস্থা।
ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদ জানান, তার বাড়ির ফ্রিজ, চাল-ডাল, কাপড়, লেপ-তোশক, গ্যাসের চুলা, প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে। রাতে ঘুমানোর পর বৃষ্টির পানি যখন ঘরের খাট পর্যন্ত পৌছায়, তখন আতংক ছাড়া চোখে কোন কিছু ছিল না।
ক্ষতিগ্রস্ত মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহেলা বেগমের ঘরের প্রায় ১০ মণ চাল পানিতে নিমজ্জিত হয়। ছেলেমেয়েদের বই-খাতা, কম্বলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত আকতার হোসেন (সিজন), এম.এ হাসেম, ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান, ইলিয়াস আলম, কলেজ শিক্ষক তৌফিকুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, ডা. লুৎফর রহমান, মিনা বেগম, সামসুল আলম, সাইফুল ইসলাম, মৃত আব্দুল লতিল মাস্টারের বাড়ি, ব্যবসায়ী লাল মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসমা বেগমের বাড়ির লোকজন বৃষ্টিতে পানি নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে ধামইরহাট পৌর মেয়র মো. আমিনুর রহমান ঘটনাস্থলে লোক পাঠান এবং ধামইরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে পানির ড্রেন বন্ধ হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই জানান। ক্ষতিগ্রস্তরা করোনাকালীন আকস্মিকভাবে আরও ক্ষতির শিকার হয়েছেন।