আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
হাওরে যত দূর চোখ যায় এখন দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেত চোখে পড়ে। চার দিকে মাতিয়ে রেখেছে অবারিত হাওরের খোলা মাঠ। সেখানে সবুজ জমিনে বাতাসের দাপট লুকোচুরি খেলা করে। না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ধানের চারা সতেজ হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে কোনো জমিনে বেরিয়েছে শীষ। অপেক্ষার প্রহর গুনছে নিকলীর কৃষকেরা। সরেজমিনে উপজেলার বড় হাওরে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক তার জমিতে পরিচর্যা করছেন। শুকনো জমিতে পানি প্রয়োগ করছেন। কেউ বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। কেউ আগাছা পরিস্কার করছেন। নিকলী গোবিন্দপুরের কৃষক আলী হোসেন জানান, জমিগুলো দেখছি আর অপেক্ষা করছি। বৈশাখ এলেই ধান ঘরে তুলতে পারবো। তিনি আরো বলেন, ধান চাষে খরচ বেশি হয়। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা যায় না। এজন্য দিন দিন কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রায় একুশ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সবাই আশা করছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হাওর ফসলে ভরে উঠবে।