বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় মেয়েটির ডাকচিৎকারে পরিবারের লোকজন অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে নিকলী থানা পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে সোমবার সকালে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
অভিযুক্তের নাম মো: মামুন মিয়া (১৮)। তিনি উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের নানশ্রী বাগুয়াখালী গ্রামের মো: রিটন মিয়ার ছেলে। গ্রামবাসী ও মেয়েটির পাবিারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে মামুন বিরক্ত করতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো। রাস্তা আটকে দাঁড়াতো। মেয়েটি কান্নাকাটি করে এসব বাড়িতে এসে জানালে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন চুপ থাকে।
করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির বাড়ির আশপাশে মামুন ঘোরাঘুরি শুরু করে। মেয়ের নিরীহ বাবা এসব নিরবে সহ্য করে আসছিল। শনিবার রাত ১০টার দিকে পড়ালেখা শেষ করে মেয়েটি তার নিজ কক্ষ থেকে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হয়। দরজা খোলা পেয়ে এ সময় মামুন মেয়েটির কক্ষে ঢুকে পড়ে। পাশের কক্ষে মেয়েটির মা-বাবা অনেক আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। মেয়েটি ঘরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতেই কক্ষে ঢুকে থাকা মামুন তাকে জাপটে ধরে নাক-মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ধস্তাধস্তির পাশাপাশি মামুনের কাছ থেকে বাঁচার জন্য ডাক-চিৎকার শুরু করে।
মেয়েটির ডাক চিৎকারে পাশের কক্ষ থেকে বাবা-মা ভাই ছুটে এসে মামুনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে আটকে রাখা হয়। সারারাত এ নিয়ে গ্রামের লোকজন দেন-দরবারের চেষ্টা চালায়। পরে সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মামুনকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে নিকলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে ছাত্রীর বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়েছে। সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।