আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
চাকরি দেয়ার নামে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়ায় এখলাছ উদ্দিন (১৮) নামে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের অগ্রেরকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এখলাছ উদ্দিন কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের লতু মিয়ার ছেলে ও মঠখোলা হাজী জাফর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এখলাছ উদ্দিনের বড় ভাই মো. সোহরাব উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ সময় আমাদের প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আমার ভাইকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। এখলাছকে ঢাকায় নিয়ে জোরপূর্বক নুরুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেয়। এ বিয়ে এখলাছ মেনে নিতে পারেনি। এ ঘটনার কয়েকদিন পর এখলাছ ঢাকা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকেই সে কারো সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত না। সময়মতো খাবারও খেত না।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সে বাড়ি থেকে বাহিরে যায়। এরপর ১ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা তাকে বাড়ির চারপাশে খুঁজতে থাকি। এ সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে পুকুরপাড়ে একটি আমগাছের ডালে তাকে ঝুলতে দেখি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি থেকে এখলাছকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিয়ের কারণে আমার ভাই প্রাণ হারিয়েছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য বিয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান জানান, হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বেই এখলাছ প্রাণ হারায়।
কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক এমএ জলিল জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র : যুগান্তর