মো: আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চলছে শেষ মুহুর্তের নির্বাচনী প্রচারণা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে চলছে পথসভা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ। ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ১০টিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রয়েছে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। এ অবস্থায় নির্বাচন সামনে রেখে অশান্তির আগুনে জ্বলছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিরও প্রায় একই অবস্থা। দুই দলের মনোনয়ন না পেয়ে অনেকে হয়েছেন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র। কোনো কোনো নেতা আবার দলের মনোনয়নই চাননি। হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে দলীয় ভোটব্যাংকে ওইসব প্রার্থীরা ভাগ বসাবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এসব কারণে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজ উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা যেমন চরম বেকায়দায় রয়েছেন, তেমনি অস্বস্তিতে আছে বিএনপিও। দলীয় সমর্থকদের বলাবলি করতে শোনা গেছে যে, দলের প্রার্থী নির্বাচন ভালো হয়নি। তাই তারা দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিকেই ঝুঁকবেন। গত দু’দিন ইউনিয়নগুলোতে সরেজমিন গিয়ে নির্বাচন নিয়ে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজের ইউনিয়ন যশোদলের মনিপুরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন একটি চায়ের দোকানে বসে চা-খেতে। তাদের একজন কাঞ্চন মিয়া। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক। নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা উঠতেই তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থী পছন্দ হয়নি। তাই ভোট দেবেন দলের বিদ্রোহীপ্রার্থীকে। কেন? উত্তরে তিনি বলেন, বিদ্রোহীপ্রার্থী ইমতিয়াজ সুলতান রাজনের (চশমা প্রতীক) বাবা ছিলেন ত্যাগী আওয়ামী লীগার। তিনি সৈয়দ আশরাফের বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। দল ও এলাকার জন্য এ পরিবারটির অবদান অনেক। দলের উচিত ছিল তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া। এ ভুলের খেসারত দলকে দিতে হবে। পাশেই বসা বিএনপি সমর্থক কেনু মিয়া ও জাতীয়পার্টির সমর্থক জাকির হোসেন, তারা বলেন, মার্কা খুঁজবাম এমপি ইলেকশনে( জাতীয় নির্বাচনে) অহন না। গ্রামের ইলেকশনে ব্যক্তি ও যোগ্যতাই আমরা দেখবাম। জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে রাজন মাত্র সাত ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। তিনি এবার দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র) হয়েছেন। যশোদলের মধ্যপাড়া, ভাবুন্দিয়া, কালিকাবাড়ি ও তানিয়াকান্দি এলাকাঘুরে ভোটার ও বিভিন্ন দলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহেদ মিয়ার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বিদ্রোহীপ্রার্থী রাজনের। এখানে বিএনপির একক প্রার্থী মো. রুকন উদ্দিন। কিন্তু ভোটের মাঠে তার অবস্থান ভালো না বলেই ধারণা পাওয়া গেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তিনি দল থেকে মনোনয়ন নেননি। দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। তার প্রতীক আনারস।
বিন্নাটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কথা হয় পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাঞ্চন সরকারের তিনি জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের টিকেট চেয়েও পাননি। ফলে বিদ্রোহী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি। গত মঙ্গলবার কামালিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত তার পথসভাটি বিরাট জনসভায় রূপ নেয়। তার অবস্থা অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে ভালো দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনে তিনি মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। আওয়ামী লীগ থেকে এ ইউনিয়নে প্রার্থী করা হয়েছে, মো. আজহারুল ইসলাম বাবুলকে। বিএনপির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এএইচএম লুৎফুল বারী খোকন। অন্য প্রার্থীরা হলেন, এবিএম মহিউদ্দিন আহমেদ বাদল (মোটর সাইকেল), মো. আখতারুজ্জামান (চশমা) ও মো. মামুনুর রহমান ভূঁইয়া (অটোরিকশা)। তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক কিংবা আওয়ামী ঘরানার লোক। বিন্নাটি এলাকার আবদুর রহমান ও সুমন মিয়া বলেন, এখানে ত্রিমুখি নির্বাচন হতে পারে। এই তিন প্রার্থী হলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শফিক, আ.লীগ প্রার্থী বাবুল ও বিএনপি প্রার্থী খোকন।
চৌদ্দশত ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে আ.লীগের দু’জন ও বিএনপির তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবি ছিদ্দিক খোকা। দলের মনোনয়ন না চেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মো. শাহজাহান (ঘোড়া)। সদ্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে লড়ছেন আমিনুল হক রতন। বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবদুল করিম (আনারস) বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ফলে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে আছেন। বিএনপি ঘরানার আরেক প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও (মোটর সাইকেল) স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। চৌদ্দশত উত্তরপাড়ার আবদুল কাইয়ুম, মুর্শিদ মিয়া জানান, তারা দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেবেন না, স্বতন্ত্রপ্রার্থী (আ’লীগের বিদ্রোহী) শাহজাহান পাবেন তাদের ভোট। তারা বলেন, দানশীল, পরোপকারী ও যোগ্যলোক হিসেবেই তিনি দলমত সবার ভোট পাবেন। চৌদ্দশত বাজারে আরো কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এখানে আ.লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাহানের। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীও ভালো ভোট পাবেন। বিএনপি প্রার্থীর অবস্থা বেশি ভালো নয়।
কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাত জন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. বদর উদ্দিন। বিদ্রোহী আছেন আরো চারজন। তারা হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুছলেহ উদ্দিন (চশমা), মো. শফিকুল ইসলাম সোহাগ(ঘোড়া), বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন(অটোরিকশা) ও মুর্শিদ উদ্দিন ভূঁইয়া(মোটর সাইকেল)। বিএনপির একমাত্র প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন। তিনি আরো তিনবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরেছিলেন। এবার তিনি লোকজনের বেশ সহানুভূতি পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আরেকজন প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল (আনারস)। তিনি জাপা করলেও দলের মনোনয়ন চাননি। মনাকর্শা, চিকনিরচর, কড়িয়াইল ও বাদেকড়িয়াল গ্রামের কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা ধারণা দেন, এবার এখানে ধানের শীষ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কড়িয়াল গ্রামের আ.লীগ সমর্থক জহিরুল হক মুরাদ বলেন, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রার্থী খুবই বেকায়দায় আছেন।
দানাপাটুলি ইউনিয়নে আওয়ামী ও বিএনপি দু’দলেই ঝামেলায় আছে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুজন ও বিএনপির দু’জন ও জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী রয়েছেন। সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন দুলাল আ.লীগের প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন শাহীন রানা ইকবাল (আনারস)। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আরিফুল হক। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন মো. জসিম উদ্দিন (মোটরসাইকেল)। জাতীয় পার্টির হয়ে লড়ছেন মো. উছমান গনী। ইউনিয়নের গাগলাইল এলাকার নূরুল হক ও বাঁশহাটি গ্রামের মো. আবদুর রউফ বলেন, দানাপাটুলিতে জাতীয় পার্টি বাজিমাত করতে পারে। দলের প্রার্থী উছমান গনি দলমত নির্বিশেষে সবার ভোট পাবেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে ভোটের হিসেবে আঞ্চলিকতা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। সবাই নিজ নিজ এলাকার ভোট ধরে রেখে অন্য এলাকা থেকে ভোট টানার চেষ্টা করছেন। মহরম আলী বলেন, এইডা তো রাজার নির্বাচন না, হেই নির্বাচনের সময় নৌকার লাইগ্যা জান দিয়াম। কিন্তু এইডাত আমরার মতো ভোট দিয়াম লাঙলে। কারণ গ্রামে এত দল-ফল মাইনষে বুজে না।
বুধবার রাতে আট টার দিকে বৌলাই বাজারে গিয়ে দেখা যায় জমজমাট প্রচারণা। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের স্লোগান-মিছিল ও পথসভায় মুখিরত বাজার। আছে খাওয়া-দওয়া এবং চায়ের দোকানে জমজমাট নির্বাচনি আড্ডা। কথা হলো মৈশাখালি গ্রামের তাজুল ইসলাম ও পাটধা গ্রামের মো. আমির উদ্দিনের সঙ্গে তারা জানান, মূল লড়াই হবে আ.লীগ প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন ও একই দলের সমর্থক স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবদুল জব্বার(টেলিফোন) এবং বিএনপিপ্রার্থী মো. নূরুল হকের মধ্যে। এ ইউনিয়নে মোট সাত জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। অন্য চারজনের মধ্যেও আওয়ামী ও বিএনপির সমর্থক রয়েছেন, তারা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থক বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন কাদের (মোটরসাইকেল) ও সাইফুল ইসলাম বাবুল(আনারস), বিএনপি সমর্থক নজরুল ইসলাম রঞ্জু(চশমা)। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. হাদিউল ইসলাম। বৌলাই এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থক আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের একজন প্রার্থী থাকলে খুব সহজেই আমরা জিতে যেতাম। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে।
মাইজখাপন ইউনিয়নে তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দুজন, বিএনপির একজন। আওয়ামী থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ালীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ। বিএনপির প্রার্থী মো. রুকন উদ্দিন ভূঁইয়া। পরপর ছয়বারের চেয়ারম্যান মো. মফিজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ করলেও তিনি দলের টিকেট না চেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছে। তার প্রতীক অটোরিকশা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান খুবই জনপ্রিয়। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গেই তার লড়াই কেন্দ্রীভূত থাকবে।
মহিনন্দ ইউনিয়নেও বেকায়দায় আছে আওয়ামী লীগ। ভাস্করখিলা গ্রামের আবদুল আলী বলেন, এখানে আওয়ামীগের দুজন, বিএনপির একজন ও ইসলামী আন্দোলনের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আছে। আ.লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে মো. মনসুর আলীকে। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদা (অটোরিকশা)। বিএনপির প্রার্থী আবদুর রশিদ। আওয়ামী লীগের সমর্থক কাশরারচর গ্রামের আবদুল লতিফ বলেন, দু’জন প্রার্থী থাকায় তারা দু’টানায় আছেন। স্থানীয়রা বলছেন, একাধিক প্রার্থীর কারণে ভরাডুবি হতেপারে দলীয় প্রার্থীর।
দলগত ভাবে আওয়ামী লীগ কিছুটা সুবিধায় আছে মারিয়া ইউনিয়নে। এখানে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। এ ইউনিয়নে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মো. উবায়দুল্লাহ। বিএনপি করলেও দল থেকে মনোনয়ন না চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ (আনারস)। জাপার প্রার্থী আছেন মো. মুনতাজ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন মো. মুজিবুর রহমান হলুদ। এ প্রার্থীর ভাবমূর্তির কারণে একক প্রার্থী দিয়েও আ.লীগ স্বস্তিতে নেই। এখানে তিনি হেরে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না বলে জানিয়েছেন চরমারিয়া গ্রামের আ.লীগ সমর্থক আলাউদ্দিন।
রশিদাবাদ ও লতিবাবাদ ইউনিয়েনেও আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছে। তবে রশিদাবাদ ইউনিয়নের আ.লীগ প্রার্থী সিরাজুল আলম ও লতিবাদ ইউনিয়নের আ.লীগ প্রার্থী মো. সেলিম জানান, একাধিক প্রার্থী থাকলেও তারা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু স্থানীয়রা তাদের কথায় একমত হতে পারছেন না। তারা বলছেন, উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে এ দু ইউনিয়নে। বিএনপির প্রার্থীশূন্য লতিবাবাদ ইউনিয়নে দলটির দুই বিদ্রোহী ও আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যাপক মো. সেলিম (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক (আনারস), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আ. আহাদ খান (মোটর সাইকেল), বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম (অটোরিকশা) ও আশরাফুল আলম (চশমা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন (টেবিল ফ্যান)। এখানে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সমর্থনে তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
রশিদাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী সিরাজুল আলম (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. ইদ্রিছ মিয়া (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম রেজাউল হক ইকবাল (লাঙ্গল) এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও দেলোয়ার হোসেন (আনারস)।
জেলা আওয়ামী লীগের দু’জন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যোগ্য ও এককপ্রার্থী দেওয়া সম্ভব হলে আমরা পৌর নির্বাচনের মতো সবগুলোতেই সবজে জয়ী হতাম। কিন্তু সবগুলো ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় দল হিসেবে বেকায়দায় আছে আওয়ামী লীগ।