পারভীন সুলতানা দিতি (৩১ মার্চ,১৯৬৫- ২০ মার্চ ২০১৬) একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী। তার জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’।
প্রাথমিক জীবন
১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
চলচ্চিত্রে আগমন
১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির আগমন ঘটে। দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে তার অভিনিত এমন অনেক জনপ্রিয় ছবি আছে যা এখন ও বর্তমান প্রজন্মের দর্শক এর কাছেও জনপ্রিয়।
ছোট পর্দায় আগমন
বর্তমানে দিতি ছোট পর্দার কিছু একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন । এ ছাড়া তিনি রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য সিনেমা
হীরামতি, দুই জীবন, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, খুনের বদলা, আজকের হাঙ্গামা, স্নেহের প্রতিদান (১৯৯৯), শেষ উপহার, চরম আঘাত, স্বামী-স্ত্রী, অপরাধী, কালিয়া, কাল সকালে(২০০৫, মেঘের কোলে রোদ(২০০৮), আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮), মুক্তি (২০১৪), কঠিন প্রতিশোধ (২০১৪), জোনাকির আলো (২০১৪), তবুও ভালোবাসি (২০১৩), পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী (২০১৩), হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ (২০১১), মাটির ঠিকানা (২০১১), নয় নম্বর বিপদ সংকেত (২০০৭), দূর্জয় (১৯৯৬), সুইট হার্ট (নির্মানাধীন), ধূমকেতু (নির্মাণাধীন)।
মৃত্যু
দিতির ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মস্তিষ্কে ক্যানসার ধরা পড়ে । তখন চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকস অ্যান্ড ট্রমাটোলজি (এমআইওটি) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিন দফা চিকিৎসা শেষে দিতির শরীরে রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ‘পারকিনসন’ ধরা পরে যা দুরারোগ্য ক্যান্সার নামে পরিচিত। আরোগ্য সম্ভব না জেনে বাধ্য হয়েই তাকে নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন মেয়ে লামিয়া ও ছেলে দীপ্ত চৌধুরী । অবশেষে দিতি বেশ কিছুদিন ঢাকার ইউনাইটেড হাস্পাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যগ করেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া