হাওরে বরুণ ফুল বসন্ত বাতাসে দোলে

আবদুল্লাহ আল মহসিন।।

বসন্তে কত ফুল ফোটে। কত ফুল দোলে। কত ফুল সুভাস ছড়ায় প্রকৃতিতে। লাল, নীল, সাদা, হলুদ আরো কতো ফুলের সমাহার গাছে গাছে। এই হাজারো ফুলের মাঝে হাওরের জলাভূমিতে বসন্তে স্নিগ্ধতা ছড়ায় বরুণ ফুল। হাওরের গ্রামগুলিতে অনেকটা অনাদর অবহেলায় বেঁচে আছে বরুণ গাছ।

বরুণ ভাটি এলাকায় বেশি জন্মায়। কিশোরগন্জের নিকলী উপজেলাতে রয়েছে অসংখ্য বরুণ গাছ। হাওরের ক্ষেতের আইলে, নদীর তীরে, খালের পাড়ে এখানে সেখানে প্রকৃতির শোভা বর্ধনে দাঁড়িয়ে আছে। বসন্তকালে বরুণ ফুল ফোটার সময় সৌন্দর্য যেনো আরো একটু বৃদ্ধি পায়। বলা যায় এটি হাওর জলাভূমির সৌন্দর্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

উপজেলার জলাভূমিতে সাদা হলুদ বরুণ ফুল যে শোভা ছড়িয়েছে কাছে থেকে না দেখলে সে দৃশ্যের বর্ণনা উপলব্ধি করার মতো নয়। শিল্পীর তুলিতে আঁকা এ ছবি যে কেউ একবার দেখলেই মুগ্ধ না হয়ে পারে না। কথিত আছে, হাওরে ধান কাটার সময় টেপী বোরোর গরম ভাতের সাথে বরুণের কচি ডগা ভাজি করে গৃহস্থ নারীরা কামলাদের খেতে দিতো। যুগের পরিবর্তনে এখন এই রীতিও উঠে গেছে।

বরুণ ফুল দিয়ে সনাতন ধর্মে অনেক পূজা অর্চনারও রীতি রয়েছে। চৈত্রসংক্রান্তিতে মেয়েরা বরুণ ফুল সংগ্রহ করে গ্রামময় রাস্তায় ছড়িয়ে দেয়। প্রকৃতির লড়াকু সৈনিক দ্বিজেন শর্মা বলেন, বরুণ জলাভূমির পরিবেশবান্ধব বৃক্ষ। এটি জলজ প্রাণীরও উপকার করে।

Similar Posts

error: Content is protected !!