আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
উপসর্গ দেখা বা বোঝার আগেই ধরা পড়বে ৫০ ধরনেরও বেশি ক্যান্সার। তা-ও শুধুমাত্র রক্তপরীক্ষা করেই।
এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হচ্ছে তা বুঝতে বিশ্বের বৃহত্তম হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হল ইংল্যান্ডে। সে দেশের “ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস)”-এর তত্ত্বাবধানে। যে ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন প্রায় দেড় লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক। যাঁদের বয়স ৫০ থেকে ৭৭ বছরের মধ্যে। এই হিউম্যান ট্রায়ালের নাম দেওয়া হয়েছে, “গ্যালেরি ট্রায়াল”।
বাড়িতে গিয়ে গ্যালেরি টেস্ট
গত সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১) থেকে শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের সর্বত্র বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহের সরকারি অভিযান। বাড়িতেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, হলে কোন ধরনের ক্যান্সারে আর তা এখন কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গ্যালেরি টেস্ট : আমেরিকা ও ব্রিটেন
আমেরিকায় ইতিমধ্যেই এই গ্যালেরি টেস্ট চালু হয়েছে। তবে সেই পরীক্ষা-পদ্ধতিতে কিছু গলদও ধরা পড়েছে। মানব শরীরের টিউমার থেকে ধমনীতে ছড়িয়ে পড়া ডিএনএ-র কিছু অংশ পরীক্ষা করেই গ্যালেরি টেস্ট চালানো হয় আমেরিকায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ছে না বলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়। সে দেশে আপাতত গ্যালেরি টেস্টের মাধ্যমে ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, গলা, ঘাড় ও মাথার ক্যানসার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়ছে এই পরীক্ষা-পদ্ধতিতে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ আমান্দা প্রিচার্ড বলেছেন, “আমেরিকার গ্যালেরি টেস্টের ফলাফলের কথা মাথায় রেখে ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষা-পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। তার সুফল বুঝতেই শুরু হয়েছে এই হিউম্যান ট্রায়াল।”
সূত্র : The Guardian