সংবাদদাতা ।।
নিকলী উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও পপি রি-কল প্রকল্পের সহযোগিতায় নিকলী উপজেলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ২২ মার্চ ২০১৬ বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত হয়। উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘ওয়াটার এ্যান্ড জব্স’। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহীন আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রওশন আক্তার। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ন্যাচারাল লিডার মোঃ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নূরুজ্জামান হাবিব, উপজেলা প্রকৌশলী-এলজিইডি আবুল হাসানাত মহিউদ্দিন, পপি রিকল প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ মোশারফ হোসেন খান, গুরই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক প্রমুখ।
সভায় সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ওয়াশ কো-অর্ডিনেটর মোঃ ইকবাল হোসাইন জানান, বিশ্ব পানি দিবস ২০১৬কে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের শুরু থেকেই নিকলী উপজেলার সিংপুর, দামপাড়া, কারপাশা, নিকলী সদর, জারইতলা, গুরই ও ছাতিরচর ইউনিয়নে ওয়ার্ড ও পাড়া পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে ছিল র্যালি, স্কুল শিক্ষার্থী ও কিশোরীদের অংশগ্রহণে কুইজ প্রতিযোগিতা, ওয়ার্ড ওয়াটসান কমিটি ও এলাকাবাসীদের যৌথ সভা, ৫বছরের কম বয়সী শিশুর মা ও কিশোরীদের অংশগ্রহণে উঠান বৈঠক, প্ল্যাটফরমবিহীন নলকূপ পরিদর্শন, হাত ধোয়া প্রদর্শন প্রভৃতি।
নিরাপদ পানির উৎস তথা নলকূপের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, পানির পাত্র পরিষ্কার ও ঢেকে রাখা, পানি বহন ও সংরক্ষণ এবং পানি পান ও ব্যবহারের সময় ময়লা আবর্জনা সক্রমণমুক্ত রাখা অর্থাৎ যেসব জায়গাগুলোতে পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, প্রতিটি স্থানে পানির নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। বিভিন্ন ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয় যাতে নিরাপদ উৎসের পানি আমাদের সচেতনতা ও সতর্কতার অভাবে দূষিত হতে না পারে।