আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও কন্যাসন্তান জন্মালে মন খারাপ হয়ে যায় অনেকেরই। বিশেষ করে তা যদি হয় ঘরের প্রথম সন্তান। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে আদর-যত্ন সব কিছুতেই ছেলে-মেয়ের মধ্যে তফাৎ করা হয়। আত্মীয়-স্বজন তো আছেনই, সঙ্গে কন্যার বাবা-মারও যেন চোখে মুখে অমাবশ্যার ছায়া। এটি শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও একই রকম ধারণা পোষণ করা হয়। তবে গবেষণা বলছে, উল্টো কথা। কন্যাসন্তান জন্মালে আয়ু বেড়ে যায় বাবার।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কন্যাসন্তান জন্মালে পিতার আয়ু তুলনামূলক বেশি হয়। তারা অন্য পুরুষদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচেন। অন্যদিকে পুত্র বা কন্যাসন্তানের জন্ম মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আয়ু কমায়। এর প্রমাণ পাওয়া যায় আমেরিকান জার্নাল অব হিউম্যান বায়োলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায়।
পোল্যান্ডের জাগিলোনিয়ান ইউনির্ভাসিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুত্রসন্তান তাদের পিতার আয়ুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে কন্যাসন্তানের সংখ্যার সঙ্গে পিতার লম্বা আয়ুর সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়, একজন পুরুষের কন্যাসন্তানের সংখ্যা যত বেশি হবে, তার আয়ুও ততই বাড়তে থাকবে। সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, প্রতিটি কন্যাসন্তানের জন্য বাবা ৭৪ সপ্তাহেরও বেশি অতিরিক্ত আয়ু পান।
এ সমীক্ষা চালানো হয় ২ হাজার ১৪৭ জন মা এবং ২ হাজার ১৬৩ জন বাবার ওপর। মূলত এ গবেষণার লক্ষ্য ছিল একটি সন্তান জন্মের পর বাবার মানসিক ও শরীরিক অবস্থা কেমন থাকে সেটি পর্যবেক্ষণ করা। তবে এ গবেষণা করতে গিয়ে উঠে আসে আরও চমকপ্রদ সব তথ্য।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস