আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বয়স কোনো বাধাই নয়, যদি তার প্রতিভা থাকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব আর্সেনালের স্কুল একাডেমি কোচের এটাই হলো সর্বশেষ চিন্তা। যে কারণে রীতিমত ইতিহাসই গড়ে ফেলেছে তারা। ক্লাবের স্কুল একাডেমির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী এক ক্ষুদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
মাত্র চার বছর বয়সী জায়েন আলি সালমান। এই ক্ষুদেকে আর্সেনালের স্কুল একাডেমিতে নিয়ে এলেন কোচ পার মার্টেসেকার। আলি সালমানের বাবা কিন্তু এই ঘটনায় খুব একটা অবাক নন। কারণ, মাত্র চার বছর বয়সী এই ক্ষুদেকে পেতে এরই মধ্যে আরও কয়েকটি ক্লাব যোগাযোগ করেছে তার সাথে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আলি সালমানের বাবা বলেন, “সে যেদিন জন্ম নিয়েছিল, আমি সেদিনের কথাটা খুব স্মরণ করতে পারি। প্রথমে নার্স তাকে তার সামনে এনে রাখলো, এরপর আমাকে দেখানোর জন্য তার মাথাটাকে তুলে ধরলো। এমনকি সেও (নার্স) ছিল খুব বিস্মিত। একেবারে শুরু থেকেই দেখেছি, আমার ছেলেটা ছিল খুবই শক্ত-সমর্থ।”
খুব ছোট বয়সেই প্রতিভার বিচ্ছুরণ। তবে, অনেকেই আলি সালমানের বাবা এবং আর্সেনালের তুমুল সমালোচনা করেছেন। তাদের যুক্তি হলো, পেশাদারিত্ব কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে যে, একজন চার বছর বয়সী ক্ষুদেকেও এর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হলো!
তবে জায়েন আলি সালমানের বাবা মনে করেন, তার ছেলে একটু ব্যতিক্রমই। তিনি বলেন, “সে যখন আরও খুব ছোট ছিল, তখন থেকেই সে দারুণ ভারসাম্য রাখতে শিখে গিয়েছিল। সেটাকেই সে এখনও পর্যন্ত টেনে আনছে। আর আর্সেনালও তার এই বয়স নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। তারা শুধু চিন্তা করেছে, এই ছেলের মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।”
জায়েনের কোচ অস্টিন স্কোফিল্ড বিশ্বাস করেন, বয়সের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা তাকে আরও ছোট থেকেই দেখছি, দারুণ প্রতিভাবান। ওই সময়ই দেখেছি তার চেয়ে আরও বেশি বয়সীদের চেয়ে সে এগিয়ে। দারুণ গতিশীল এবং অন্য যে কারো চেয়ে দারুণ স্কোরিং ক্ষমতা রয়েছে তার। আমি তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি যে, তাকে খেলার মধ্যেই রাখতে। তিনি বলেছেন, কেন নয়?”