আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর নানান বিষয় মিলিয়ে নেওয়ার রীতি বহু পরিবারই মেনে চলে। অনেকে আবার পাত্রের চালচলন নিয়ে যাবতীয় খোঁজখবরের পর নিশ্চিন্ত হয়ে তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে চূড়ান্ত করেন। হবু জামাইয়ের আয়-উপার্জন খুঁটিয়ে জেনে নেন মেয়ের মা-বাবা। তবে হবু জামাই সন্তানের পিতা হতে সমর্থ কি না, তা নিয়ে বোধ হয় মেয়ের মা-বাবার কৌতূহল তেমন একটা দেখা যায় না। যদিও ভারতের কলকাতায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এক চিকিৎসকের।
ইন্দ্রনীল সাহা নামে কলকাতার ওই চিকিৎসকের দাবি, মেয়ের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হওয়ার আগে হবু জামাইয়ের বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন পাত্রীর বাবা। এ আবদার নিয়ে ওই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ওই পোস্টে ইন্দ্রনীলের আরও দাবি, প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও শনিবার (২৩ অক্টোবর ২০২১) ওই পাত্রের বীর্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ওই পাত্র-পাত্রীর বা তাঁদের পরিবারের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছেন তিনি। তবে ফেসবুকের পাতায় তা নিয়ে কিছু কথা লিখতে ছাড়েননি। এমন অভিজ্ঞতা যে তাঁর কর্মজীবনে এই প্রথম, তা-ও জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল।
ইন্দ্রনীল লিখেছেন, “এত দিন জানতাম, দেখেশুনে বিয়ে হলে ঠিকুজি-কোষ্ঠি মেলানো হয়। শুনেছি, কখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দেখে মেয়ের বয়স মেলানো হয়। কিংবা দেখতে চাওয়া হয় ছেলের স্যালারি স্লিপ। (তবে) মেয়ের বাবা ছেলের বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন। এমনও অভিজ্ঞতা হল এ বার। সেটা নয় সহজে পাওয়া যাবে। কিন্ত, এ বার যদি জানতে চান হবু জামাই সহবাসে সক্ষম কি না, তবে কেলো করেছে!” সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “আরও কী যে দেখতে শুনতে হবে, কে জানে!”
এ নিয়ে ফেসবুকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মন্তব্য করতে ছাড়েননি অনেকেই। পাত্রীরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অনেকে। বিষয়টিকে লঘু করতে চাননি বেশ কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। তাঁদের মতে, “মন্দ কী! এতে তো লিঙ্গসাম্যই বজায় থাকল।” স্বয়ং ইন্দ্রনীল কী মনে করেন? ফেসবুকে তাঁর সাফ জবাব, “এ ভাবে দরদাম করে সম্পর্ক তৈরি হয় না!”
সূত্র : আনন্দবাজার