আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
এমন একটি গাড়ি যা আপাদমস্তক “হিরা” দিয়ে মোড়া! সে গাড়ি দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু তাই বলে ভুল করেও ছুঁয়ে দেখতে যাবেন না যেন। কারণ, ওই গাড়ি স্পর্শ করতে গেলেও পকেটে অন্তত লাখেরও বেশি টাকা রাখতে হবে!
সৌদি আরবের যুবরাজ আল-ওয়ালিদ। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয় তিনি। ওয়ালিদ একজন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীও।
বৈরুতের পাইনউড কলেজে তাঁর পড়াশোনা। তারপর রিয়াদের একটি সেনা স্কুলে ভর্তি হন। তারপর ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো কলেজ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক হন। তারপর নিউইয়র্কের সাইরাকুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আল-ওয়ালিদ অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। শুধুমাত্র সৌদি আরবেই তিনটি প্রাসাদ রয়েছে তাঁর। তবে মধ্য রিয়াদের প্রাসাদেই বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি।
ওই প্রাসাদে অন্তত ৩১৭টি কক্ষ রয়েছে। এই বিশাল প্রাসাদ বানাতে খরচ হয়েছিল ১৩ কোটি ডলার। অন্য দেশে ভ্রমণ করতে গেলে ব্যক্তিগত বিমানেই যাতায়াত করেন ওয়ালিদ।
আকাশপথে ভ্রমণের জন্য যেমন ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে, জলপথের জন্যও একটি ইয়ট রয়েছে। এটির মূল্য ৫০ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।
অন্তত ২০০টি বেশি দামি গাড়ি রয়েছে তাঁর। সেই তালিকায় রয়েছে রোলস রয়েস, ল্যাম্বরগিনি, ফেরারির মতো দামি গাড়ি।
তাঁর দীর্ঘ গাড়ির তালিকায় রয়েছে ওই “হিরা”খচিত গাড়িটিও। এমন কথা প্রচলিত রয়েছে যাকে শুধু ছুঁয়ে দেখতে গেলেই নাকি গুনতে হবে লাখ টাকা!
সেটি আসলে একটি মার্সিডিজ গাড়ি। কিন্তু গাড়ির আগাগোড়া হিরার মতো কেলাস দিয়ে মোড়া। অন্তত তিন লাখ কেলাস রয়েছে গাড়িটিতে।
দু’সপ্তাহ ধরে ১৩ জন বিশেষজ্ঞের চেষ্টায় গাড়িটিকে এমন “হিরা” দিয়ে সাজানো সম্ভব হয়েছিল। মার্সিডিজ এসএল৬০০ মডেলের গাড়িটির দাম ৪৮ লক্ষ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪১ কোটি টাকা।
২০০৭ সালে দুবাইয়ের একটি প্রদর্শনীতে মার্সিডিজের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে গাড়িটি দেখানো হয়েছিল। তারপরই সেটি কিনে নেন যুবরাজ। পুরোটাই “হিরা” দিয়ে মোড়া থাকায় আলো পড়লেই ঝলমল করে ওঠে ওই গাড়ি।
আলওয়ালিড ফিলানথ্রোপিস নামে একটি সংস্থাও গড়ে তুলেছেন তিনি। যার মূল লক্ষ্য আরবের মহিলা এবং যুব সমাজকে স্বনির্ভর করে তোলা। এই সংস্থার জন্য তিনি ইতিমধ্যে ৩৫০ কোটি ডলার খরচ করেছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার