আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বিয়েবাড়ি এলে দিতে হবে সাড়ে ৮ হাজার টাকা! আমন্ত্রণপত্রে (দাওয়াত কার্ডে) এমনই জানিয়েছেন কনে। এই কথা শুনে অবাক আমন্ত্রিতরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কনের কাণ্ড শেয়ার করেছেন সেই বিয়েতে আমন্ত্রিত এক ব্যক্তিই। তবে এটা নতুন ঘটনা নয়।
অন্তত ৭০ বছর আগে ম্যাগসেসেজয়ী ভারতের লেখক-সাংবাদিক গৌরকিশোর ঘোষ তাঁর বিয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের পাঁচ টাকার টিকিট কেটে ঢোকার কথা নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করেছিলেন। গৌরবাবুর বাবাকেও টিকিট কেটে ঢুকতে হয়েছিল!
গৌরবাবু কেন এমন করেছিলেন, সে কথা জানার সুযোগ এখন হয়তো নেই। কিন্তু এই কনে কেন এমন ঘটনা ঘটালেন? বিয়ের অনেক খরচ। বরের পোশাক, নিজের সাজ, গাড়ির খরচ, বিয়ের জায়গা— সবকিছুর জন্যই অনেক অর্থ ব্যয় হয়। তার ওপর আবার খাওয়া-দাওয়া। এত খরচ বহন করতে অপারগ তিনি। সে কারণেই বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার জন্য অতিথিদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৯৯ ডলার করে চেয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৮৫০০।
কিছুক্ষণেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বিয়েতে আমন্ত্রিতের বলা সেই কাহিনী। অনেকেই এই কনের কথা জেনে তাঁর বেছে নেওয়া পথের সমর্থনে কথা বলেছেন। সেই পোস্টের কমেন্টে লিখেছেন, তরুণী আত্মীয়-স্বজনদের থেকে সাহায্য চেয়ে কোনও ভুল করেননি। কেউ কেউ অবশ্য এই পোস্টের নিন্দাও করেছেন। বলেছেন, এমন পোস্ট দেখে অপমানিত বোধ করছেন তাঁরা।
আর কয়েকজন নেটিজেন নিছক অবাক হলেন। বললেন, আমন্ত্রণ যে এমনও হতে পারে, তা এই প্রথম শুনলেন!
সূত্র : আনন্দবাজার