আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪০-৫০ জন।
নিহত ব্যক্তি কৈলাগ গ্রামের মৃত তারু মিয়ার ছেলে শফি মিয়া (৫০)।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রাহেলা ও কৈলাগ গ্রামের দুই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাহেলা ও কৈলাগ গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার কৈলাগ আলমগীর হোসেন তার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় রাহেলা গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিয়ত আলী মিঠুর লোকজন আলমগীরকে আটকিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় রাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘটিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ৪০-৫০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে বল্লমের আঘাতে গুরুতর আহত শফি মিয়াকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র : যুগান্তর