আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে দলে দলে কক্সবাজারে পৌঁছান নানা বয়সী মানুষ। সকাল পেরিয়ে বিকেল-সন্ধ্যা এমনকি রাতেও লোকারণ্য সৈকত। সৈকতের বালিয়াড়ি ও পর্যটন স্পটগুলোতে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই।
এ ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের কুয়াশা মাখা হাওয়ায় সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। ভিড় রয়েছে হোটেল-মোটেলে অলিগলি-রাস্তায়। পর্যটকবাহী ও সাধারণ পরিবহন এবং ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশায় বাইপাস সড়ক, কলামতী ডলফিন মোড়, হোটেল-মোটেল জোন, লাবণী, শৈবাল সড়ক ঢেকে যায়। তীব্র যানজটে নাকাল পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
এদিকে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান জানান, টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। বুধবার থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। অনেক আগেই বুকিং হয়ে যায় পর্যটনকেন্দ্রিক সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ চিকিৎসা ও খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও দিগন্ত ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, শুধু কক্সবাজার নয়, ইনানী-হিমছড়ি, সেন্টমার্টিনসহ সব পর্যটন স্পটে পর্যটকের উপস্থিতি বেড়েছে।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢেউয়ের সঙ্গে খেলছেন পর্যটকরা। আনন্দে আত্মহারা হয়েছে অনেকে বিপদসীমার বাইরেও চলে যান। তাদের কিনারায় আনতে কাজ করার পাশাপাশি নিরাপদ থাকতে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সৈকতের সব পয়েন্টে মানুষের ভিড়। সুগন্ধা, লাবনী ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটক সমাগম বেশি হয়। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো ঘটনা রোধে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে এবং পর্যটক বেশেও পুলিশের নারী সদস্যরা সৈকতে অবস্থান করছেন।