কোমরের চার পাশে একটি বড় চাকা ঘুরিয়ে কোমর মুচড়িয়ে এক ধরনের নাচ নাচেন হাওয়াই দ্বীপের মহিলারা। এর নাম hula-hula বা hula-hoop কিংবা hula-hooping। এটি একটি ব্যায়ামও বটে। ব্যায়াম হিসেবে এই হুলা-হোপিং সারা বিশ্বে প্রচলন আছে! এ ব্যায়ামে কোমর মুচড়ানোর প্রয়োজন হয় বলে একে Twist নামেও আখ্যায়িত করা হয়।
ব্যায়ামবিদেরা এই টুইস্ট বা হুলা-হুপিংকে বিংশ শতাব্দীর জোসেফ পাইলেটস উদ্ভাবিত দৈহিক ফিটনেস সিস্টেম পাইলেটস ও যোগব্যায়ামের শ্রেণীভুক্ত করতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা ভারী হোপস বা চাকাটি ভারী করতে চান ১.৫ কেজি ওজনের মতো। ওই চাকা যত বেশি ভারী হবে তা দেহের চার পাশে ঘুরবে তত কম গতি নিয়ে। আর ভারী চাকা ঘোরানোর কাজটিও খুব সহজ নয়। বেশি ভারী হোপ বা চাকা ঘোরার সময় শরীরের সাথে বেশি মাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই এটি ঘোরানোর জন্য প্রয়োজন হয় বেশি পেশিশক্তির। তবে সাধারণ প্লাস্টিকের যে হোপ বা চাকা সচরাচর পাওয়া যায়, তা ঘোরালেও শরীরের ঘাম ঝরানোর জন্য যথেষ্ট- এ অভিমত Donna Aston-এর। তিনি একজন লেখক ও মেলবোর্নের একজন ফিটনেস প্রশিক্ষক।
আমেরিকান কাউন্সিল অব এক্সারসাইজের গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, ৩০ মিনিট সময়ের হোপিং বা টুইস্টিং প্রায় ২১০ ক্যালরি তাপ বার্ন করে। আর এই ব্যায়ামের উপকারিতা বুট ক্যাম্প ক্লাস থেকে পাওয়া উপকারিতার সমান। অতএব আসুন প্রতিদিন টুইস্টিংয়ে মেতে উঠি।