চোখের চিকিৎসক মিনা করোনিও গ্রিসে যখন একটি ক্লিনিক খোলেন, তখন তিনি যা দেখতে পান তা তাকে অবাক করে। তার ৬১ জন রোগীর মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন ৮০ বছরের বেশি বয়সী। এদের মাত্র ৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। কিছু শিল্পায়িত দেশের লোকদের বেলায় এই হারটা প্রায় ৫০ শতাংশ। তিনি মনে করেন, এই পার্থক্যের কারণ হতে পারে খাওয়া-দাওয়ার ভিন্নতার কারণে। উল্লেখ্য, ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন চোখের চিকিৎসাগত একটি রোগ বা অবস্থার নাম। এটি মানুষের বয়সের সাথে সংশ্লিষ্ট। বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ তার দৃষ্টিশক্তি হারাতে থাকে। কারণ, চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এর বিরূপ পভাব পড়ে চোখের দৃষ্টিক্ষেত্র ম্যাকিউলার ওপর। চোখের এই রোগের আরেক নাম এএমডি তথা ‘এজ রিলেটেড ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’।
চিকিৎসক মিনাস করোনিও ‘ফিস্ট ইওর আইস’ নামে একটি বইও লিখেছেন। তিনি বলেছেন, তার আগেকার সমীক্ষা ও অন্য ছোটখাটো সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে- মেডিটারিয়ান ডায়েট ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে ওমেগা-৩-সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ কমে যায়। একই ফল পাওয়া যায় প্রতি সপ্তাহে দুই দিন বাদাম খাওয়ার ফলে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে বড় চামচের এক চামচ জলপাইয়ের তেল খাওয়ার অভ্যাস করেন, তাদের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক কমে যায়।
জেনেটিক আই
আমরা জানি, ঘন সবুজ পাতাময় সবজি, সাইট্রাস-জাতীয় ফল ও মাছ ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। তবে পুরোপুরি শস্যদানা থেকে তৈরি কম জিআই (জিনেটিক্যালি ইমপ্রুভড) ব্রেড আপনার ম্যাকিউলার ডিডজেনারেশন রোধ পরিকল্পনারও অংশ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কম মাত্রার জিআই (জেনেটিক্যালি ইমপ্রুভড) ফুড আগাম ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি কমায় ২৫ শতাংশ।
মুনীর তৌসিফ
সূত্র : অন্য এক দিগন্ত