নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
ভাটির রাণীখ্যাত ইউনিয়ন কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন। বর্ষাকালে গ্রামগুলোকে মনে হয় একেকটি ভাসমান জাহাজ। রাতের বেলায় দূরে দূরে জাহাজগুলো নোঙর করে আছে। শুকনো মৌসুমে যদিও গ্রামগুলো হাওরের তীর ও বুক চিরে রাস্তায় রাস্তায় মিলিত হয়েছে একসাথে। কখনও নদী, কখনও খাল-বিল পাড়ি দিয়ে তাদের একাকার হওয়া। বর্ষাকালে প্রতিটি গ্রাম আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে উঠে। তখন চলাচলের বাহন হয়ে ওঠে একমাত্র নৌকা।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন ভাটির এই গ্রামগুলোতেও যাতায়াত করা যায় গাড়িতে কিংবা রিকশায়।
সৌন্দর্জমণ্ডিত উপজেলা মিঠামইনের শেষ প্রান্তের ইউনিয়ন কেওয়ারজোড়। সুন্দর এই গ্রামগুলোর শুকনো মৌসুমের যাতায়াতের রাস্তাগুলো বর্তমানে খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে; বলা যায়, প্রায় যাতায়াত অনুপযোগী। রাস্তার কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি এমনভাবে জমে আছে যে সেগুলোতে রীতিমতো রাজহাঁস তাদের গাঁ ধোলাই করে ও বাচ্চারা জলকেলি করে সানন্দে।
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাড়িতে এসে রাস্তাঘাটের এমন দুর্দশা দেখে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে সুধী সমাবেশ করেন। এ সময় তারা রাস্তাঘাটের এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশে আলোচনায় উঠে আসে, কেওয়ারজোড়-লাওকুড়া, কুড়া, চণ্ডিপুর, হেমন্তগঞ্জ, রাণীগঞ্জের রাস্তা একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার চেয়ে পানির ড্রেন বলে মনে হয়। রাস্তাগুলো কোথাও কোথাও জমি থেকে প্রায় দুই ফুট নিচু। এছাড়াও অত্র ইউনিয়নের রাস্তাঘাটগুলো খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। সেগুলোর মেরামত খুবই জরুরি। গ্রামের রাস্তাগুলোর এমন অবস্থা যে, গ্রাম থেকে কোন রোগীকে হাসপাতালে নেয়া দুস্কর।
রাস্তাঘাটের বর্তমান চলাচল অনুপযোগী পরিস্থিতি বিষয়ে ”আমাদের নিকলী ডটকম”-এর প্রতিনিধির সাথে কথা হয় কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, কয়েকজন বর্তমান মেম্বারের সাথে। তারা তাদের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্পর্কিত প্রকল্প প্রদান করা আছে বলে জানালেন।
ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, সংসদ সদস্য মহোদয়ের মাধ্যমে এই ইউনিয়নের রাস্তাঘাটগুলোর প্রকল্প দেয়া আছে। তিনি এগুলো সরাসরি তদারকি করছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন আগামী জুন মাসে এগুলোর টেন্ডার হবে। বর্ষার শেষে হেমন্তকালে (শুকনো মৌসুমে) রাস্তাঘাটগুলোর কাজ শুরু হবে।