বিশেষ প্রতিনিধি ।।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মো. আমির হোসেন ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনী, সহযোদ্ধা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। বড় ছেলে মোঃ ফরিদ আহাম্মদ কিশোরগঞ্জ পৌর মহিলা কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া অন্য সন্তান সকলেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তিনি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ৩ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
রণাঙ্গনের চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানান নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার। এ সময় প্রশাসনের পক্ষে আরো ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। সম্মাননা শেষে আমির হোসেনকে নিজ এলাকা গুরইয়ের ঐতিহাসিক মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দেশের এই সূর্যসন্তানের মৃত্যুতে নিকলীর প্রথম অনলাইন সংবাদমাধ্যম “আমাদের নিকলী ডটকম” পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে। সেই সাথে তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
কীর্তিমান এই মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি বিশেষায়িত শয্যা উপহার দেয়া হয়েছে। এর ফলে গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) প্রথমবারের মতো হাসপাতালটিতে যুক্ত হলো উন্নতমানের একটি শয্যা। চিকিৎসা নিতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত শয্যা হিসেবে উপহারটি গ্রহণ করেন কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার সজিব ঘোষ।
ডাক্তার সজিব ঘোষ বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। হাসপাতালে নতুনটি সংযোজিত হওয়ায় সংরক্ষিত শয্যার একটি সরিয়ে নতুন বিশেষায়িত এই শয্যাটি স্থাপন করা হয়েছে।
শয্যা হস্তান্তরের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হোসেনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (সোমবার) ঢাকার একটি হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আমির হোসেন চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন। জানাজা শেষে পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা গুরইয়ের ঐতিহাসিক মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।