পাকুন্দিয়া সংবাদদাতা ।।
নিজ শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মৃতদেহ পরিত্যক্ত ঘরে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায়। পুলিশ ঘাতক বাবা উপজেলার জুনাইল গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে কাশেম মিয়াকে (২৫) আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাস্তে (ধান কাটার যন্ত্র) উদ্ধার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ দিনগত রাতে মর্মান্তিক ওই ঘটনা ঘটে পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের জুনাইল গ্রামে। শনিবার দুপুরে শিশুটির লাশ উদ্ধার ও শনাক্ত করা হয়।
নিহত শিশুর নাম ইমরান। বয়স ৪। সে জুনাইল গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে। শিশুটি থাকতো পার্শ্ববর্তী কুমড়ী গ্রামে তার নানার বাড়িতে।
প্রতিবেশীরা জানায়, কাশেম মিয়া নেশাগ্রস্ত কর্মহীন ব্যক্তি। অভাবের তাড়নায় অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী পারভীন কিছুদিন আগে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। আর ছেলে ইমরানকে রেখে যায় নানা সুলতান মিয়ার বাড়ি কুমড়ী গ্রামে।
ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) কাশেম মিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে তার শিশুপুত্র ইমরানকে নিজ বাড়ি জুনাইল গ্রামে নিয়ে আসে। রাতের কোনো এক সময় বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘরে ছেলেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কাস্তে দিয়ে গলা কেটে মরদেহ ওই ঘরের বালিতে পুঁতে রাখে।
শনিবার দুপুরে নানা সুলতান মিয়া তার নাতিকে দেখতে যান। খুঁজে কোথাও না পেয়ে চিন্তায় পড়েন। এ সময় পাশের পরিত্যক্ত ঘরে কিছু একটার দুর্গন্ধ পান। সেখানে গিয়ে মাটি খুঁড়ে তার নাতির মরদেহ শনাক্ত করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ঘাতক কাশেমকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক কাশেম মিয়াকে আটক করে ও তার (কাশেমের) স্বীকারোক্তিতে পাশের ফিশারি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাস্তে উদ্ধার করে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।