একজন সাহিত্যবোদ্ধা আমাকে বলেছিলেন- বাংলা কবিতার পূর্ণপাঠ নিতে হলে তোমাকে আবিদ আজাদের কবিতার কাছেও যেতে হবে। আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত পাঠক আমি, অনিবার্য আকাঙ্ক্ষায় খুঁজে নিলাম ‘ঘাসের ঘটনা’। একথা আজ বলতে দ্বিধা নেই, বাংলা কবিতায় তিনি অসাধারণ কিছু করে গেছেন। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের কবিতায় যা নেই। ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতাকে তিনি নিজস্ব নতুন মাত্রায় উত্তীর্ণ করেছেন। জীবনানন্দের মতো তার কবিতায়ও আছে শিল্প ও ভাবের জঙ্গম জটিল কুহেলিকা। সম্ভবত সে কারণেই সমকালীন সাহিত্য মূল্যায়ন থেকে নিদারুণভাবে বঞ্চিতও তিনি। তাঁর কবিতার উচ্চতাকে ধারণ করার মতো পাঠক ও বোদ্ধা কম থাকাটাই হয়তো স্বাভাবিক! যেমনটি জীবনানন্দের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি। ‘ঘাসের ঘটনা’ বাংলা কবিতায় উজ্জ্বল এক সংযোজন। তীব্রতম জীবনবোধে আচ্ছন্ন যার প্রতিটি পংক্তি। সত্তর দশকের সম্পূর্ণ আলাদা এক ভাবলোক এ গ্রন্থে ধরা পড়ে। আহসান হাবীব, আল মাহমুদ, আবুল হাসান থেকে সম্পূর্ণ পৃথক চেতনার চিত্রলিপি তাঁর প্রতিটি কবিতা। ‘ঘাসের ঘটনা’র প্রথম কবিতা ‘আজো তুমি’ অসাধারণ শব্দতন্তুতে গ্রথিত। চিরদিনের ‘তুমি’ এখানে পেয়েছে অন্যমাত্রা।
‘বুক থেকে অবিস্মরণীয় মৌনতার লতাতন্তু ঝরাতে ঝরাতে চলে গেছ তুমি
আমি পড়ে আছি অপাঙ্গেবিদীর্ণ হতশ্রী বাড়ির মতো একা আকণ্ঠ বিরহী- এই একা আমি
শুভ্র নির্জনতাধৌত পথের রেখার পাশে পড়ে আছি অনুজ্জ্বল আরেকটি ম্লান রেখা শুধু।’
এ কবিতায় স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে নিজস্ব স্বর, শব্দ ও বাক্যের ভূগোল। শব্দবন্দে কতো স্বতোচ্ছল তাঁর ভাষ্য। ইন্দ্রিয়জ অনুভূতিগুলো ঘন থেকে ঘনতর হয়ে আসে। যেমন- ‘জন্মস্বর’ কবিতায়-
‘স্বপের- ভিতরে আমার জন্ম হয়েছিল
সে প্রথম আমি যখন আসি
পথের পাশে জিগা-গাছের ডালে তখন চড়চড় করে উঠেছিল রোদ
……………………………………
স্বপ্নের ভিতরে সেই প্রথম আমি মানুষের হাত ধরতে গিয়ে
স্তব্ধতার অর্থ জেনে ফেলেছিলাম
…………………………………….
অন্যমনষ্ক ভাবে আমার এই পূণর্জন্ম দেখেছিল
তিনজন বিষণ্ন অর্জুন গাছ।
সেই থেকে আমার ভিতরে আজো আমি স্বপ্ন হয়ে আছি-
মা, স্বপ্নের ভিতর থেকে আমি জন্ম নেব কবে?’
আবিদ আজাদের এই স্বপ্ন আমাদের বিপন্ন ইন্দ্রিয়ানুভূতি থেকে খুব দূরে নয়। পথের অভিজ্ঞতাগুলিই যেন তার রোদ ঝলসানো স্বপ্ন। এখানে ভিড় করে আছে শব্দ, স্মৃতি আর নির্ভার প্রকৃতি। শুরুতেই শব্দবন্দের নিজস্ব বিন্যাসে স্বকীয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বাবার সাথে সৃষ্ট দূরত্বে বিব্রত তিনি। তবু বার বার বাবার কাছেই ফিরে এসেছেন।
‘আমি বাবার সামনে গিযে দাঁড়াব, বাবা কিছুই বলবে না
আমার নতমুখ বাদলার দিনের মতো
আমার উচ্ছ্বাস একটি ছোট্ট জুনিপোকার মতো
আমি বাবার সামনে গিয়ে বসে পড়ব কথা বলব না
দুঃখিত অবদান যেমন চুপ করে থাকে
আমার কাঁধে সূর্যাস্তের চিহ্ন দেখেই বাবা সব অনুমান করে নেবে।’
(বাবার কাছে/ঘাসের ঘটনা)
এই হচ্ছে আবিদ আজাদের কবিতা। স্বপ্ন আর স্মৃতির পুনর্বিন্যাসে মধ্যরাতের জোছনার মতো ঝলমল করে উঠে তাঁর পংক্তি। এক রকম স্মৃতির ভেতর থেকেই তাঁর উত্থান। যুগের অবহেলায় পরিত্যক্ত অথবা পথের ধূলিতে মাখা তাজা শব্দের মতো তাঁর স্মৃতি জাগ্রত কবিতা। সম্ভবত সে কারণেই মৌলিকতার প্রশ্নে হেলে পড়েনি তাঁর চেতনাঋদ্ধ কবিতালোক। পাঠককে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখার যোগ্যতা আছে আবিদ আজাদের কবিতায়। এ কথা স্বীকার না করে উপায় নেই।
* ‘যে পথে যাই আমার আজ নিজের সাথে দেখা
যেখানে যাই আজকে আমি আমার সাথে একা।
জটলা-ছায়া জটলা-ছায়া, মেঘলা ঘরবাড়ি
বুকের নিচে ঢালু হাওয়া ধরেছে তরবারি।’
(অবেলা/ ঘাসের ঘটনা)
* ‘ভাইকে খুঁজতে আসে আজো সেই ছোট দুই প্রাকৃতিক বোন
একজন সন্ধ্যা, অন্যজন রাত-না- পোহানো ভোর।’
(প্রাকৃতিক/ ঘাসের ঘটনা)
‘ঘাসের ঘটনা’য় ( ১৯৭৬) শুদ্ধতা আর মৌলিকতার উদ্বোধন ঘটিয়ে বাংলা কবিতায় স্থান করে নেন আবিদ আজাদ। এই উত্থান বিস্তারিত হতে থাকে ‘আমার মন কেমন করে’ (১৯৮০) কবিতাগ্রন্থে। স্বতোচ্ছল গদ্যছন্দে বয়ে চলে তাঁর কবিতার স্মৃতিবাহিত মধ্যরাতের নদী। ‘মনে পড়া’ থেকে তাঁর বহু কবিতার সূত্রপাত। তারপর ক্রমাগত উত্তুঙ্গ স্মৃতির তরঙ্গে ভেসে চলে তাঁর ভাবলোক। সেই সক্রিয় জগত থেকেই উঠে আসে তাঁর কবিতার শব্দরাজি। এখানেও ইন্দিয়জ হয়ে ওঠা শব্দের নতুন পুনর্গঠন আছে।
‘আজ মনে পড়ছে সেইসব মুঠোবন্দি জোনাকপোকার দুঃখ
হাওয়ার হাওরে ছইনৌকার মতো একরত্তি পাখি
গলার নিচের দিকে অদ্ভূত নরম নীল রোঁয়া
উঠোনমণির মুখ, ভোরবেলাকার হিমভেঁজা কার চোখ
আগডোম বাগডোম চারদিকে, বাক দিচ্ছে সুন্দর মোরগ
আজ মনে পড়ছে টিনের ট্রাংকভর্তি সেইসব লাল নীল পুরনো জটিল গুটিসুতা অর্ধেক চিরুনি
তামার পয়সা আর গ্রামোফোন রেকর্ডের পিন’
(দুঃখ/আমার মন কেমন করে)
মনে হয় আবিদ আজাদ শুরুতেই নিজের মতো করে বেরিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। বারান্দা থেকে উঠোন চত্ত্বর পেরিয়ে রৌদ্রভরা মাঠ ও দুঃখিত জলের নদী, বাঁশঝাড় পেড়িয়ে ভূতুরে সন্ধ্যার অন্ধকার … এভাবেই একে একে বেরিয়ে আসছে অজস্র খণ্ডদৃশ্য। নতুন কবিতা বুননের সম্মোহনে টেনে নিয়ে আসেন অজস্র ঝলমলে শব্দ… তাঁর শব্দের গভীরে আছে মর্মাহত প্রকৃতি, বিদগ্ধ রৌদ্র, মনুষ্যত্বের চুরকাঁটায় বিদ্ধ অনাবিল স্মৃতি। ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার একটা নতুন প্যাটার্ন। তাঁর কবিতার চিত্রকল্প গুলো কম্পোজিশন হয়ে উঠে, আবার কখনো কখনো স্টিললাইফ। চিত্রের পর চিত্র থেকে ওঠে আসে এক ধরণের চৌম্বকীয় মতা। আমরা যাকে বলি কবিতার লুকানো শক্তি -শিল্পমান, খুব কম সংখ্যক কবিই এই শক্তি অর্জন করেন। যেমন-
‘তবুও তোমার হাতে বাসা বদলের শেষ ছত্রখান রাঙা সন্ধ্যাবেলা
আমাদের পুরাতন টেবিল, চেয়ার
শোকেস, জুতার ব্রাশ, মিটসেফ, আলনা ও হৃদয়
যে যার জায়গা মতো চলে আসে, বিধবা ফুফুর মতো ঠিক এসে বসে পড়ে
কেমন হাঁপায় আমাদের তছনছ সংসার
যেন ইস্টিশন- কিছুণের মধ্যেই এসে পড়বে লেট ট্রেন।’
(বাসা বদল/আমার মন কেমন করে)
‘বনতরুদের মর্ম’ (১৯৮২) কবিতাগ্রন্থে আরও বেশি শিল্পসফল হয়ে উঠেছেন আবিদ আজাদ। কবিতাকে নিজস্ব এক আত্মকথনের মধ্যে ধারণ করে তাতে সংযোজন করেছেন শিল্পময়তা। সাধারণকে অসাধারণ করে তোলার যোগ্যতা সূচনাতেই আবিদ আজাদের ছিল। এর প্রমাণ আছে তাঁর প্রতিটি কবিতাগ্রন্থে। শব্দগ্রহণের যোগ্যতাও যে কয়েকজন কবির কবিতাকে আলাদা মহিমা দিয়েছে আবিদ আজাদ তাঁদের অন্যতম। ‘বনতরুদের মর্ম’ কবিতাগ্রন্থে ‘আমাদের কবিতা’ শিরোনামে প্রথম কবিতায় তিনি লিখেছেন-
‘পারে, আমাদের কবিতা এখন সবই পারে, সবই গ্রহণ করতে পারে-
টিন, সিসা, দস্তা, ঝামা-ইট, নিকোটিন, অস্তপ্রায় জুতার সুক্তলি
বুড়োদের চোখের গোধূলি, বিমর্ষ রোগীর কফ
স্কুল শিকিার ভোর, মৃত্যুন্মুখ কিশোরের চোখ
দুর্ধর্ষ বিকেলবেলা অগ্রজ কবির ভণ্ডামি, সুবিধাবাদ
গুপ্তহত্যা, রাজনীতি, গুণ্ডামি, চরমপন্থীদের শোভাযাত্রা, মিছিল, শ্লোগান, বোমাবাজি’
আবিদ আজাদের কবিতার এই গ্রহণ যোগ্যতার মধ্যে একটা আলাদা ঐশ্বর্য আছে। শব্দ এখানে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে কথা বলে। শব্দ সংযোজনার অবসরে ক্ষুদ্রপদে আরও বেশি বাঙ্ময় করে তোলেন কবিতার নিজস্বতাকে। পাঠক বিমোহিত হয় তাঁর চিত্ররাজ্য শব্দরাজ্য আর ক্ষুদ্রপদের মন্ময়তায়। যেমন-
* অস্তপ্রায় জুতার সুকতলি
* দুর্ধর্ষ বিকেলবেলা অগ্রজ কবির ভণ্ডামি
* স্কুল শিক্ষিকার ভোর
* বুড়োদের চোখের গোধূলি
পদস্থিত ‘পয়েটিক সেন্স’ পাঠকের প্রাপ্তিকে উদ্বেল করে। স্মরণীয় হয়ে থাকে কবিতার অধ্যয়ন। কবিতার এই যাদুকরী বিন্যাসে পূর্ণতা পেয়েছেন কবি আবিদ আজাদ। উল্লিখিত কবিতার আরও কিছু অসাধারণ পংক্তি আছে যেগুলো চিত্রকল্প সমেত স্মরণীয় হয়ে থাকে।
‘পাড়া গাঁর জ্যোৎস্নায় নদীর মতো বয়ে যাওয়া পূর্ণিমা রাত্রির
নিঃসঙ্গ কালভার্টের উপর রাম-দা নিয়ে বসে থাকা ডাকাত দলের ছায়া,
শাহাজাদিতের সাদা পরিধেয় বস্ত্রাদির মতো সাপের ছলম,
গঞ্জের সন্ধ্যায় বাজারের মুখে শুয়ে থাকা
অর্ধপঙ্গু দুটি ভিখিরির ভাগাভাগি করা সান্ধ্য জ্যোৎস্না’
আবিদ আজাদের স্মৃতির ভিতরে যেমন গ্রাম, প্রকৃতি, নদী, বাঁশঝাড়, সন্ধ্যার কুয়াশা তেমনি সম্মুখে অসাধারণ এক নাগরিকতা। প্রায় পরিপূর্ণ নাগরিকতাকেই ধারণ করেছেন আবিদ আজাদ। নগরের বিবমিষা চাতুর্য, ছলনারীতি এতটা অন্যত্র পাওয়া যাবে না। নগরের দেয়ালে খাপ খাইয়ে নেয়া অর্কিডের মতো এক নাগরিক অন্তর্যাতনা আবিদ আজাদের কবিতাকে দিয়েছে বিশেষ মহিমা। এখানে তাঁর সমধর্মী আবুল হাসান ছাড়া আর কেউ নেই। সমর সেন যে নাগরিকতাকে পূর্ণতা দিতে পারেননি, আবিদ আজাদ তাকেই পূর্ণ শিল্পরূপ দিয়েছেন। যেমন-
‘গোধূলির ঘোর লাগা এই ঢলে, এই বৃষ্টিজলে
কার নৌকা সেজেছিস তুই? লাবণ্যময়ীর মতো তলে-তলে
এখন এই নর্দমা ও স্রোতস্বিনী- নৃশংসী নিবিড় প্রগলভ।
ঝলমলে জলের প্যাঁচে ফেলে তোকে দেখাবে জ্যান্তব
পাতাল, উজ্জ্বল কাদা, খাবি হাবুডুবু, ঘোলাপানি-
এই রাঙা ঢলে ভেসে যাবি তুই, ভেসে যাবি জানি
যেমন কুলকুল স্বর নিয়ে যায় আবর্জনা, ব্যাকুল জঞ্জাল।
এখন এ নর্দমাও জানে লাস্যের ঘূর্ণিতে কী করে বানচাল
করে দিতে হয় তরী।’
(এক দশকের বেদনা সংক্রান্ত/ বনতরুদের মর্ম)
টানাগদ্য কবিতায় আবিদ আজাদ আরও অসাধারণ হয়ে উঠেন। রপকথার রাজ্যের মতো এক সম্মোহনী যাদুতে বয়ে চলে তার কবিতার পাঠক মন। গদ্য কবিতার ভিতর অবয়বকে তিনি স্মৃতি, চিত্র, রূপকল্প আর শব্দের মাধুর্যতায় ভরে রেখেছেন। শুরু থেকেই দীর্ঘ টানা গদ্য কবিতায় দক্ষতা অর্জন করেছেন।
‘শীতের রচনাবলি’ (১৯৮৩); ‘আমার স্বপ্নের আগ্নেয়াস্ত্রগুলি’ (১৯৮৭); ‘ছন্দের বাড়ি ও অন্যান্য কবিতা’ (১৯৮৭); ‘তোমাদের উঠোনে কি বৃষ্টি নামে? রেলগাড়ি থামে?’ (১৯৮৮); ‘আমার কবিতা’ (১৯৮৯); ‘আরো বেশি গভীর কুয়াশার দিকে’ (১৯৯৩); ‘আমার অমতার গল্প’ (১৯৯৮); ‘খেলনাযুগ ও অন্য একুশটি কবিতা’ (২০০০) প্রভৃতি কবিতা গ্রন্থে আবিদ আজাদের অসাধারণ শিল্পসফলতা ধরা পড়ে। একজন শুদ্ধতম কবির কবিতা কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে আবিদ আজাদের কবিতার পাঠক তা ভাল বুঝবেন। আবিদ আজাদের শেষ কবিতাগ্রন্থ ‘হাসপাতালে লেখা’ (২০০৫) আমাদের কাব্য সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন। জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি এক স্বপ্নিল জগৎ চিত্রায়িত করেছেন তিনি। মৃত্যুর এমন ঘনিষ্ঠ অনুভূতি বাংলা কবিতার পাঠক এর পূর্বে এভাবে ইন্দ্রিয়জ সক্রিয়তায় লাভ করেনি।
‘মৃত্যুর হাতকে আজ পরিচ্ছন্ন মনে হলো খুব
জীবন, প্রতিষ্ঠা, গ্লানি সব তার মুঠোয় লুকানো
কৃতি, খ্যাতি, সম্ভাবনা, পুরস্কার সব আজ চুপ
তিন পুত্র বাবার শরীরে নুয়ে কাফন পরালো
এই সাদা জামা এই স্কুল ড্রেস গায়ে পরে কবিতার খাতা ফেলে ভুলে
আব্বু তুমি যাচ্ছ আজ স্বচ্ছ কোন নতুন স্কুলে?’
(মৃত্যুর হাত/হাসপাতালে লেখা)
মনে হয় জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে বসে লেখা এই কবিতা। বিপন্ন গ্রামীণ স্মৃতি আর জীবনগন্ধী নাগরিকতার পর মৃত্যুর এমন তীব্র অনুভূতি বাংলা কবিতায় খুবই দুর্লভ মনে হয়। এমন ইন্দ্রিয়জ অনুভূতি মৃত্যুকে উপোর এমন ভয়াবহ ছেলেখেলা কেবল আবিদ আজাদের কবিতাতেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব!
মহিবুর রহিম
কবি, প্রাবন্ধিক, লোকসংস্কৃতি গবেষক
সিনিয়র প্রভাষক, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া