কবিতার সৃজনরহস্য

মহিবুর রহিম ।।

কবিতাকে বলা হয় সত্যদর্শনকলা। যে সত্য কবির অন্তরে প্রতিভাসিত হয় অভিজ্ঞতায় প্রত্য আর অনুভবে রহস্য ছড়ায় কবিতা সে সত্যেরই নির্যাস-রূপ। কবি তার হৃদয়ে সত্যকে ধারণ করতে যে খণ্ডচিত্র আহরণ করেন তাই হয়ে ওঠে কবিতা। মানব জীবন এমন যে একক কোন জীবনে সত্যের সমগ্ররূপ প্রকাশ পায় না। অংশত প্রকাশ পায়। কবি তার প্রতি মুহুর্তের কল্পনায় অনন্তে নিবেদিত সত্যকে কিংবা জীবনে বিস্তারিত সত্যকে অনুধাবন করে আলোড়িত হন। কবিতা কবির সেই আলোড়নের ভাষ্য। ধ্বনি ও শব্দে সমর্পিত বিশেষ শিল্প। মানব জীবনে সত্যদর্শনের কোন পরিসমাপ্তি নেই। তাই সুক্ষ্মতম মনন কবিতারও গতি থেমে নেই। যতোদিন জীবন চলবে, জীবনের সংবেদন সক্রিয় চেতনায় সত্যকে খুঁজবে ততোদিন কবিতাও গতিমান অভিযাত্রায় নতুন সঞ্চয় বয়ে আনবে।

পৃথিবীতে রহস্যের মূল আধার হচ্ছে মানুষ। মানুষকে কেন্দ্র করেই রহস্যের জাল বিস্তৃত হয়েছে। কবিতা মানব জীবনের এই রহস্যকে নানাভাবে প্রকাশ করে। জীবন রহস্যের সঙ্গে মানুষের স্বপ্ন-কল্পনা, আশা-নিরাশা, আবেগ ও উদ্দীপনা কবিতায় উপজীব্য হয়ে উঠে।

কবিতাকে বলা হয় সূক্ষ্মতম মনন শিল্প। ভাব বা কল্পনার রসে জারিত হয়ে কবিতা প্রসূত হয়। কবিতার মূলসত্ত্বা মনন সঞ্জাত বলেই কবিতার এতো আকর্ষণ। মানুষ চিরকাল খঁজে বেড়াচ্ছে মন। কবিতায় মনকে অনুভব করা যায়। কবিতা এক অর্থে চিরন্তন মন অনুভবের শিল্প। কবিরা বলেন কবিতা লেখা যায় না, লেখা হয়। কবিতার জন্যে কখনো কখনো অপেক্ষা করতে হয়। এমন অনেক সময় আসে যখন কবিতা লেখা যায় না। চেষ্টা করেও কবিতা লেখা সম্ভব হয় না। আবার কখনো কখনো কবিতা লেখা অনিবার্য হয়ে ওঠে। কবির অন্তরে প্রসব যন্ত্রণা অনুভূত হয়। অত:পর কবিতা জন্ম লাভের মাধ্যমে যন্ত্রণার অবসান ঘটে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) এমনটি মনে করতেন। তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘ভাষা ও ছন্দ’ কবিতায় মহাকবি বাল্মিকীর কবিত্ব লাভের কথা বলেছেন।
যে দিন হিমাদ্রি শৃঙ্গে নামি আসে আসন্ন আষাঢ়
মহানদ ব্রহ্মপুত্র, অকস্মাৎ দুর্দম দুর্বার
দু:সহ অন্তর বেগে তীর তরু করিয়া উন্মুল,
মাতিয় খুঁজিয়া ফিরে আপনার কূল-উপকূল,
তট অরণ্যের তলে তরঙ্গের ডম্বরু বাজায়ে
ক্ষিপ্ত দুর্জটির প্রায় ; সেই মত বনানীর ছায়ে
স্বচ্ছ লীন প্রিগতি স্রোতস্বতী তমসার তীরে
অপূর্ব উদ্বেগভরে সঙ্গীহীন ব্রমিছেন ফিরে
মহর্ষি বাল্মীকি কবি, রক্তবেগ তরঙ্গিত বুকে,
গভীর জলদমন্দ্রে বারংবার আবর্তিয়া মুখে
নব ছন্দ; বেদনায় অন্তর করিয়া বিদারিত
মুহূর্তে নিল যে জন্ম পরিপূর্ণ বাণীর সংগীত,
তারে লয়ে কি করিবে, ভাবে মুনি কী তার উদ্দেশ-

কবিতা অনাদিকাল ধরে সৃজন চেতনাধারী মানুষের মহত্তম ভাষিক শিল্প। কবিতা ইশ্বরের বাণী নয়। কবিতা তার আরাধ্য শব্দে উষ্ণ রক্ত ঢেলে প্রসূত হয়। সম্ভবত সে কারণে কখনো কখনো কবিদের ইশ্বরের কণ্ঠস্বর বলা হয়েছে। পৃথিবীর সকল ধর্মগ্রন্থ কাব্য ভাষায় নাজিল হয়েছে। জানি না এর কী রহস্য! যতো মহত্তম গ্রন্থগুলো কাব্য ভাষায় জ্যোতির্ময় সত্ত্বা অর্জন করেছে। তারপরও এটাই সত্যে কবিতা মানব সত্ত্বারই সন্তান। মানুষের রক্তে, স্বেদে, আশায়, বিবমিষায়, আনন্দে-দুঃখবোধে অর্থাৎ মানুষ্যত্বের জারিত রসে কবিতা শিল্পরূপ পেয়েছে।

মানুষের ইতিহাস পড়ে দেখা গেছে, মানুষ কখনোই কবিতাকে ত্যাগ করতে পারেনি। কোন উষরকাল, রক্তাক্ত যুগ, মহিমান্বিত সময় কবিতা বিমুক্ত নয়। কবিতা সকল কালে সপ্রাণ ও সঞ্জীবিত রয়ে গেছে। পৃথিবীর কোন জাতিই কবিতাকে ত্যাগ করতে পারেনি। মানুষের যাত্রারম্ভ থেকে কবিতা মানুষের সঙ্গী হয়েছে, আজ অবধি মানুষের গভীর, নিগূঢ় জীবন চর্চায় কবিতার কোন বিকল্প নেই।

তারপরও কবিতার অনেক রহস্য, কবিতা চলমান বাস্তবতাকে চলমান চেতনায় গ্রহণ করে না। জীবনের সার সত্যকে শিল্প বোধে আহরণ করে নেয়। কবিতা একটি পৃথক সত্ত্বার মতো ক্রমান্বয়ে নিজস্বতা অর্জন করে। কবির রচনা হলেও কবিতা কবির জীবনের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি নয়। কবিতা একটি নান্দনিক জগতে নিজস্ব অবস্থানের পূর্ণতায় অধিষ্ঠিত হয়। কখনো কখনো কবিরও নাগালের বাইরে থেকে যায় এই শিল্পা তাড়িত কাব্যস্বত্তা। একটি শিল্পীত কবিতা কবিরও বোধগম্যতার অনেক দূরে অবস্থান করে। একজন কবির সব কবিতাই কবিতা হয়ে ওঠে না। বহু আবেগ চিন্তা, কল্পনা, কাব্যশিল্পের স্পর্শ পায় না। ব্যর্থ ভ্রণের মতো বহু কবিতা কাব্যশিল্পের প্রাণ অর্জনে ব্যর্থ হয়। একজন কবির কিছু কবিতা হয়তো কবিতা হয়ে ওঠে। মাত্র কয়েকটি শিল্পিত পংক্তির জন্য একজন কবি বহুকাল বেঁচে থাকেন। এজরা পাউন্ড একথাটিই অন্যভাবে বলেছেন, “বহূখণ্ড রচনাবলী থেকে সারাজীবনে একটি চিত্রকল্প উপহার দেয়াও উত্তম” ।

মানুষ কখন, কোথায়, কীভাবে কবিতাকে আবিষ্কার করেছিল বলা কঠিন। হয়তো নির্জন ধারণার দ্বারা, কিংবা হয়তো জীবনের কঠিন সত্য দর্শনে পীড়িত হয়ে, হয়তো সুন্দরের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে মানুষ কবিতা আবিষ্কার করেছিল। কেননা কবিতার বিষয় বিচিত্র অনুভবে আকীর্ণ। কখনো প্রভাত সূর্যের বর্ণবিভা একজনকে কবি করে তোলে! প্রেমের ব্যঞ্জনাও অনেককে কবি করে আবার কখনো অফুরন্ত দুঃখ যাতনা অনুভব করে কেউ কবি হয়। তাই হয়তো এ ফস্টারের অভিমত – ‘যে কোন ক্ষেত্রেই, একটি তীব্রতম যন্ত্রণার মধ্যে না গিয়ে কারো পে যথার্থ কবি হওয়া সম্ভব নয়।’

ডব্লিউ বি ইয়েটসের বর্ণনা মতে – ‘কবি সব সময় লেখেন তার ব্যক্তিগত জীবন অভিজ্ঞতা থেকে। জীবনের ট্র্যাজেডি থেকে জন্ম নিতে পারে উৎকৃষ্ট কবিতা। এস,টি, কোলরিজ বলেছেন- ‘ শ্রেষ্ঠতম বিন্যাস, শ্রেষ্ঠতম শব্দসমুহের প্রকাশই কবিতা। আবার মালার্মে বলেছেন- ‘শব্দই কবিতা’।

বাংলা কবিতায় আধুনিকতার জনক মাইকেল মধূসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)। কবিতা অন্তপ্রাণ মানুষ। কবিতার জন্যে জীবনকে ছিন্ন ভিন্ন করেছেন। চষে বেরিয়েছেন বিশ্বসাহিত্য জগত। তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘কবি’ কবিতায় লিখেছেন-
“সেই কবি মোর মতে কল্পনা সুন্দরী
যার মনঃ কমলেতে পাতেন আসন,
অস্তগামী ভানু-প্রভা সদৃশ বিতরি
ভাবের সংসারে তার সুবর্ণ কিরণ।
আনন্দ, আক্ষেপ, ক্রোধ যার ইচ্ছা বলে;
নন্দন কানন হতে যে সুজন আনে
পরিজাত কুসুমের রম্য পরিমলে;
মরুভুমে তুষ্ট হয়ে যাহার ধেয়ানে
বহে জলবতী নদী মৃদু কল কলে।”

আবেগ, অনুভূতি, কল্পনা সব কিছুই একজন কবিকে কবিতা সৃষ্টির অনুপ্রেরণা যোগায়। আস্তগামী সূর্যের কিরণও কবির মনোজগতে জ্যোতির্ময় আনন্দ আনে। যার কল্পনা সাধনায় শুষ্ক মরুভূমিতে জলোচ্ছল নদীর জন্ম হতে পারে – তিনিই তো কবি।

তবে এটাই সত্য, কবি ও কবিতার স্বতঃসিদ্ধ সংজ্ঞা নিরূপণ সম্ভব নয়। যতবারই কবিতার সংজ্ঞা নিরূপণের চেষ্টা হয়েছে-তত বারই একটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়েছে। এভাবে বহু চিন্তক কবি ভাবুক কবিতার সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার কোনটাই পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা হয়ে উঠেনি। কবিতার পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা নিরূপন আদৌ সম্ভব নয়। মানব মনের রহস্যের মতই কবতার রহস্যও অজ্ঞাত, অধরা রয়ে গেছে। অথবা এই রহস্য ছাড়া কবিতা কখনোই কবিতা হয়ে উঠতো না। রহস্যই কবিতার প্রধান আকর্ষণ বা রহস্যই কবিতার প্রাণ।

কবিতার মধ্যে একটি মরমীসত্য সব সময়ই কাজ করে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিতায় এই মরমী চেতনা স্বভাব চেতনার মতোই বাস্তব ছিল। তাই মধ্যযুগের এক কবি লিখেছেন-
“অন্তর হতে অহরি বচন
আনন্দলোক করি বিচরণ
গীতরস ধারা করি সিঞ্চন
সংসার ধূলি জালে।”

বাংলা কবিতার আবহমান চারিত্র এমন স্বভাব কবিতাদের হাতেই নির্মিত। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো তারা অন্তর্তাগিদে কাব্য রচনা করতো। তাদের কাব্যের মূল সত্য ছিল আনন্দ পরিবেশন। তবে সে আনন্দ কখনোই জীবন বিচ্ছিন্ন নয়। জীবন চেতনায় স্পন্দিত আনন্দ। চেনা ও জানার এক উৎসব আছে এখানে। এখানে পরস্পরের সঙ্গে পরিচয়ে মনের ভাব বিনিময় ঘটে। এই উপমহাদেশের এক মহান কবি ড. মোহাম্মদ ইকবাল (১৮৭৭-১৯৩৮)। তাঁর ‘কবি’ নামক একটি কবিতা আছে।
‘জাতি যেন দেহ,মানুষ অঙ্গ তার
হস্ত ও পদ কারিগরি সম্ভার
প্রশাসন সভা তার মুখ প্রসাধন,
নয়নের আলোতে রঙিন কবিগণ
অঙ্গে বেদনা, আঁখিতে অশ্রু ঝরে
কত সমব্যথা সবা লাগি আঁখি ধরে।’
(অনুবাদ-সত্য গঙ্গোপাধ্যায়)

ইকবাল সাহিত্য সঙ্গীত নিয়ে আরও কিছু অসাধারণ উক্তি করেছেন-
‘মাটির মানুষের দিলে তাদের প্রকাশ
আকাশ ছাড়িয়ে গেছে সিতারা জাহান
খুদীর সংরণ জীবনের স্রোতস্বিনী যেন
অন্যথায় মৃত্যুর শীতলতা তথা নিষ্করুণ কাহিনী’
তিনি বলেছেন-‘পুরাতন দেহ পিঞ্জরে নতুন প্রাণ সঞ্চার করো, অথবা পুরাতন প্রাণকে অন্ধ অনুসৃতির বাঁধনমুক্ত করো।’

পৃথিবীর আর সব বিষয়ের মতো কাব্য চারিত্রও দেখি পরিবর্তনশীল। আধুনিক যুগে কাব্য জগতে সবচে বেশি পরিবর্তন পরিলতি হয়েছে। কি প্রকরণে, কি বিষয়ে, কবিতা নতুন মাত্রায় উপস্থিত হয়েছে। বহু রকমে, বহু রূপে কবিতা উপস্থিত হয়েছে আমাদের সম্মুখে। আধুনিক কবিরা রোমান্টিসিজমকে পরিত্যাগ করে ইমপ্রেশনিজমকে উচ্চকিত করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কবিতা বিচিত্র বৈশিষ্ট্যধারী হয়ে ওঠে। বাস্তবের দরোজা ভেঙে পরাবাস্তবতার স্পর্শে কবিতা ভিন্ন মেজাজে আবির্ভূত হয়। আধুনিক কবিরা ভাব ও. কল্পনানুসারী না হয়ে, হয়ে ওঠে ইন্দ্রিয়বাদী। এখানেও কবিরা স্বস্তিতে দাঁড়িয়ে নেই। কেন না দর্শনের অস্থিরতায় কবিরা আজও নিরুদ্দেশ গন্তব্যের দিকেই ধাবমান। তাই কবির অনুভব সঞ্জাত কবিতাও নতুন রহস্য পরিধান করে আমাদের সামনে উপস্থিত হচ্ছে। কবিতা তার চারপাশে দুর্বোধ্য এক জগৎ গড়ে তুলেছ। আধুনিকতাবাদীরা বলেন, ‘দুর্বোধ্যতা নয়, এ জগৎ দুরুহ। জীবন ও শিল্প চেতনার প্রয়োজনেই এই দুরুহতর অবস্থা তৈরি হয়েছে। আধুনিক কালে যেখানে জীবন এই দুরুহ ও দুর্জ্ঞেয় রহস্য হয়ে উঠেছে, সেখানে কবিতা তো দুর্বোধ্য হবেই। কবিতায় বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয় কবির দৃষ্টিভঙ্গি। হৃদয়ে উপলব্ধ বিষয়কে কবি কীভাবে দেখেন, কখনো কখনো কবিতায় বিষয়ের চেয়ে কবির এই দৃষ্টিভঙ্গি মুখ্য হয়ে ওঠে। ফলে বিষয় বর্নণায় অনিবার্য পরিবর্তন আসে। বদলে যায় কবিতার রূপকল্প । শিল্প চিতনায় আসে ভিন্নতর আমেজ। এভাবেই কবিতা স্বাতন্ত্র অর্জনে প্রয়াসী হয়। এভাবেই যুগ-শতাব্দী- সহস্রোব্দের পথ পেরিয়ে এসছে কবিতা। কিন্তু কখনোই পুরনো হয়নি। শুরুতে কবিতায় যেমন কবির জীবন দৃষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে, তেমনি আজও কবিতায কবির দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হচ্ছে। আদি কবিদের থেকে আজকের কবিদের কবিতায় জীবনের মৌলিক বিষয়াবলী কী খুব আলাদা ধরনের? বিষয়ের দিক থেকে আজকের কবিতায় খুব বেশি কি নতুনত্ব এসছে? যতটুকু এসেছে সেটা কবির ধারণাগত কারণেই এসছে। যে ধারণা কবির দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন।

মৌলিক কাব্যসৃষ্টিতে প্রথমেই একজন কবিকে অর্জন করতে হয় স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গি। ধার করা দৃষ্টিভঙ্গিতে একজন কবি কখনো ভাষার শিল্প ও স্বাতন্ত্র অর্জন করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে কবির জীবন অধ্যয়ন স্বভাবচেতনা, ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা ও প্রতিভার প্রয়োজন পড়ে। মূলত এখানেই নির্ধারিতে হয়ে যায় কবি ও কবিতার আমোঘ নিয়তি।

লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক , লোকসংস্কৃতি গবেষক।
সিনিয়র প্রভাষক, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ , ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

Similar Posts

error: Content is protected !!