বিশেষ সংবাদদাতা।।
বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে নিকলী উপজেলা সদরে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়ে ২০১৫ সালে গড়ে উঠে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাব। বস্তুতপক্ষে এটি গড়ে উঠার পর থেকেই এর পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত সফির আহমেদ খান (সবুজ), হাবিবুর রহমান (হাবিব) ও আব্দুল কাদিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অপকর্মের কথা শোনা যাচ্ছে। তারা সশস্ত্র বাহিনী ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ অনুদান নিয়ে নিজ প্রয়োজনে অবৈধভাবে খরচ করার মতো কাজ করে যাচ্ছেন। সবুজ-হাবিব-কাদির সিন্ডিকেট তৈরি করে ক্লাবের অফিসকে ব্যবহার করছেন জমির দালালিসহ নানাবিধ ব্যক্তিগত কাজে। যা সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।
ক্লাবের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এমন নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্রের সাথে আলাপকালে আরো জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এই সংগঠন গড়ে উঠলেও বর্তমানে ট্রেনিং করছেন কিংবা ট্রেনিং করতে যাবেন এমন কারো কারো বাড়িতে গিয়েও তাদের বাবা-মায়ের কাছে ভর্তি ফি ও মাসিক চাঁদা আদায়ের জন্য জোর তাগিদ দিচ্ছেন। তাদের এই অযাচিত দাবির কথা শুনে বাবা-মা তো বটেই, যারা শুনছেন তারাই অবাক হচ্ছেন। কারণ, এটি “অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাব”। তাতে নতুন সদস্যদের কাছ থেকে কেন চাঁদা দাবি করা হচ্ছে? কামরুল আহসান (স্বাধীন) বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তাকে কোনো প্রকার কার্যক্রমেই দেখা যায় না।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাব হওয়ার আগে নিকলীতে ‘সৈনিক ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন ছিলো। বিভিন্ন কারণে সৈনিক ক্লাব তাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারায় এখন প্রায় বন্ধ। এই ক্লাবের সদস্যদের কাউকেই চিঠি বা মৌখিকভাবে বর্তমানে গড়ে উঠা অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাব কখনো জানাননি। সদস্যপদ নিতে আহ্বানও জানানো হয়নি। এ নিয়ে পূর্বতন সৈনিক ক্লাবের সদস্যরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন।
জানা গেছে, চলমান সিন্ডিকেটের অসদাচরণের ফলে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাবের চলমান সদস্যদের অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ক্লাব অফিসে যেতে পারেন না। সৈনিক ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন কয়েকজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চলমান এই কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত নন।
আমাদের নিকলীর পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদক অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ক্লাবের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।