বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের উত্তর সরারচর গ্রামে জন্ম সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরীর। বিশিষ্ট জমিদার জয় গোবিন্দ রায় চৌধুরীর ২য় ছেলে তিনি।
সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী সরারচরের জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক। পেশা জীবনে উকিল ও একজন রাজনীতিবিদ। তিনি একজন সুলেখকও ছিলেন।
সমাজকল্যাণে নানাবিধ জনহিতকর কাজের জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তাকে রায়বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে। শুধুমাত্র সামাজিক অবদানই নয়, লেখালেখিরও ছিলো সুনাম। তার লেখা উল্লেখযোগ্য ২টি গ্রন্থ হলো “সংসার ও সংগ্রাম” এবং “শতবর্ষ পূর্বের বাঙ্গালী”। গ্রন্থদু’টি তাকে পৌছে দেয় এক অনন্য উচ্চতায়।
যদিও সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী বেচেঁ নেই, তবুও তার লেখা দুটি গ্রন্হ আজও পাঠক হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে।
জমিদারী কার্য চালানোর জন্য শতবর্ষ আগে নির্মিত উত্তর সরারচরে অবস্থিত সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরীর এ জমিদার বাড়ি দেখতে এখনোও অনেক দর্শনার্থী ভীড় জমান বাড়িটিতে। সরারচরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যতম এ জমিদার বাড়িটি অপরূপ কারু কার্যে ভরপুর। এ জমিদার বাড়িটি যেন দশনার্থীদের নিয়ে যায় চিরচায়িত সেই রাজ শাহী আমলে। প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শন টিকিয়ে রাখতে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে এগিয়ে আসা জরুরি।