কটিয়াদীতে জামানত হারালেন ১৩ চেয়ারম্যান

কটিয়াদী সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২য় পর্যায়ে গত ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নে মোট ৪২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের ১৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে বনগ্রাম ইউনিয়নে ১জন, সহশ্রাম ধূলদিয়ায় ১জন, করগাঁও ২জন, আচমিতায় ৩জন, মসূয়ায় ২জন, লোহাজুরীতে ৩জন এবং জালালপুরে ১জন প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বনগ্রাম ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫হাজার৪৭৩জন। কাস্টিং ভোট ১৯হাজার২৩৯টি। ভোটের শতকরা ৭৬ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে বাংলাদেশ সমাজ তান্ত্রিকদল (বাসদ) নজরুল ইসলাম খোকন (মই) পেয়েছেন ৮৯ ভোট।

সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩হাজার৭৬৯জন। কাস্টিং ভোট ১৮হাজার৪৪৯ টি। ভোটের শতকরা ৭৮ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক অমৃতা (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫৩ ভোট।

করগাঁও ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২২হাজার ৩৩১জন। কাস্টিং ভোট ১৭হাজার২৬২ টি। ভোটের শতকরা ৭৭ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে আব্দুল আলী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩৭ ভোট ও আ: ছালাম বাচ্চু (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩৩১ ভোট।

আচমিতা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫হাজার ৯৪১জন। কাস্টিং ভোট ১৯হাজার ৮৮টি। ভোটের শতকরা ৭৪ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে এনামুল হক শৈবাল (ঘোড়া) পেয়েছেন ২৫ ভোট, ওবায়দুল আকন্দ (মোটর সাইকেল) ৮০ ভোট এবং হারুন অর রশিদ (আনারস) পেয়েছেন ৭৭৩ ভোট।

মসূয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩হাজার ৯৬৩জন। কাস্টিং ভোট ১৭হাজার ২৮৭ টি। ভোটের শতকরা ৭২ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে আব্দুল কাদির (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫৩ ভোট ও মো: কামাল হোসেন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১১৭ ভোট।

লোহাজুরী ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫হাজার ৫৫৭জন। কাস্টিং ভোট ১৩ হাজার ৩২ টি। ভোটের শতকরা ৮৪ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে খায়রুল আমিন রুহুল (ঘোড়া) পেয়েছেন ২১০ ভোট, এ,কে,এম ফজলুল হক (মোটর সাইকেল) ১হাজার ৪ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলনের সিরাজুল ইসলাম (হাতপাখা) পেয়েছেন ১১৮ ভোট।

জালালপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭হাজার১২২ জন। কাস্টিং ভোট ১৩ হাজার ১৬৫টি। ভোটের শতকরা ৭৭ ভাগ কাস্ট হয়েছে। এ ইউনিয়নে মতিউর রহমান মাস্টার (ঘোড়া) পেয়েছেন ১হাজার৬২ ভোট।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, নির্বাচনী বিধি অনুসারে প্রত্যেক প্রার্থীকে কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এ হিসাবে অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!