সংবাদদাতা ।।
আকস্মিক বৃষ্টিতে হাওরের জমিতে পানি জমে যাওয়ায় আধাপাকা ধানই কাটতে শুরু করেছেন কৃষক। কিন্তু দাওয়ালের অভাবে তাও কাটতে পারছেন না। ফলে পানিতে ডুবে ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে এখন। বর্তমানে ব্রি ধান ২৮ পেকে গেছে। বৈশাখের শুরুতে পুরো হাওরে দাওয়া শুরু হবে। অনেকে চিন্তা করছেন ১জন দাওয়ালকে রোজ দিতে হয় ৪ শত টাকা আর ১ মণ ধান বিক্রি হয় ৪শত টাকা। এই অবস্থায় ধান কেটে কিভাবে লাভবান হবে কৃষক। কিশোরগন্জের নিকলী মিঠামইন ইটনা অষ্টগ্রামের হাজার হাজার কৃষকের এখন চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে। যে ভাবে ১ সপ্তাহ যাবত বৃষ্টি হচ্ছে আর কয়েক দিন বৃষ্টি হতে থাকলে কৃষক মরে যাবে। মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী গ্রামের কৃষক হাবিল মিয়া জানান, বৈশাখ মাস আসতে আরো কিছুদিন বাকি। এর মাঝে কিছু জমিতে পানি হয়ে যাওয়ায় এখন ধান কাটতে হবে। এই সময়ে দাওয়ালের প্রচণ্ড অভাব হচ্ছে। বাইরের দাওয়াল না আসলে ধান কেটে ঘরে আনতে পারব না।
জানা যায়, হাওরের ধান কাটার মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ৫০ হাজারেরও বেশি দাওয়ালের আগমন হয়। এবার ব্রি ধান ২৮ এর আগাম ফসল কাটা শুরু হলে বর্তমানে হাওরের কৃষক দাওয়ালের সংকটে ভুগছে।