কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
বাজিতপুরে এক মেম্বার প্রার্থী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অপর মেম্বার প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো এক আবেদনে এই অভিযোগ তুলে ধরেছেন। গত ৩১ মার্চ বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রার্থী সমান ভোট পেলেও প্রিসাইডিং অফিসার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে একজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পাঠানো আবেদনে এই ওয়ার্ডে মেম্বার পদে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এনায়েত উল্লাহ সোহাগ নামে এক প্রার্থী।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, ওই নির্বাচনে ৬ জন মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে এনায়েত উল্লাহ সোহাগ (মোরগ) ও ফুল মিয়া (আপেল) সর্বোচ্চ ও সমানসংখ্যক ৪২৩ ভোট করে পেয়েছিলেন। প্রিসাইডিং অফিসার মো. হারুন অর রশিদ কেন্দ্রে জনগণের সামনে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই ওয়ার্ডে পুনঃনির্বাচন হবে। একথা বলেই তিনি ব্যালট পেপার নিয়ে উপজেলা সদরে চলে যান। কিন্তু পরদিন ফুল মিয়ার লোকেরা বিজয় মিছিল করলে এনায়েত উল্লাহ সোহাগ রিটার্নিং অফিসার মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ফুল মিয়া এক ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। লিখিত আবেদনে এনায়েত উল্লাহ সোহাগ উল্লেখ করেন, তিনি এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, প্রিসাইডিং অফিসার ৫০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ফলাফলে এই অনিয়ম করেছেন। এ ঘটনা নিয়ে তিনি ইতোপূর্বে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন এবং সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
এনায়েত উল্লাহ সোহাগ তার আবেদনে অনিয়মের বিচার করে পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।