উন্নততর দৃষ্টিশক্তির জন্য

সিঙ্গাপুরের উদ্ভাবিত একটি আদর্শ পদ্ধতি চোখের কর্নিয়া সংযোজন পদ্ধতিকেই পাল্টে দিয়েছে। কর্নিয়া সংযোজনের ক্ষেত্রে একটি পুরনো কর্নিয়া পাল্টে নতুন কর্নিয়া লাগিয়ে দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও সার্জনদের এমন অবস্থায় পড়তে হয় যে, যখন কোনো কর্নিয়াকে চোখের পুত্তুলিতে আনফোল্ড করা হয়, তখন এর ভেতরের স্তর ধ্বংস হয়ে যায়। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারের মেডিক্যাল ডিরেক্টর প্রফেসর ডোনাল্ড ট্যান সিদ্ধান্ত নেন এ ব্যাপারে কিছু একটা করার জন্য। তিনি উদ্ভাবন করেন ট্যান এনডো গ্লাইন্ড (Tan Endo Glide) নামে একটি যন্ত্র।
Tan-Endo-Glide
কর্নিয়া সংযোজন করার আগে সার্জনেরা আলতো করে কর্নিয়া বের করে আনেন এই যন্ত্রের একটি ছোট্ট টানেলের মাধ্যমে। হার্টের আকারের একটি রোলের মধ্যে তা পেঁচানো অবস্থায় বেরিয়ে আসে। এভাবে যখন যন্ত্রটি চোখের ভেতর ঢুকানো হয়, তখন কর্নিয়ার ভেতরের স্তরটি চোখের পুত্তুলির দিকে মুখ করে থাকে। কর্নিয়া তখন আস্তে করে টেনে বের করে আনা হয় যন্ত্রটি থেকে চোখের ওপর পাশ থেকে একটি চিসটার মাধ্যমে এবং এটি স্বাভাবিকভাবে খুলে যায় চোখের পুত্তুলির উপরিভাগে। এই পুল-থ্রো মেথড অপারেশনের  সময় কর্নিয়ার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ করে দেয় এবং কর্নিয়ার ভেতরের স্তরকে রক্ষা করে। এতে করে কর্নিয়া ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে। অন্যান্য পদ্ধতিতে ৩৫ শতাংশ কর্নিয়া ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। প্যাটেন্ট পাওয়া এই যন্ত্রটি তৈরি করতে দুই বছর সময় লাগে। যন্ত্রটি এতই সফল যে, সারা বিশ্বে এখন এই যন্ত্র দিয়ে চোখে কর্নিয়া সংযোগ করা হয়।

Tan-Endo-Glide2

Similar Posts

error: Content is protected !!