কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের ঈশাখাঁ পল্লীতে চাদাঁবাজী ও মানহানীর মামলার প্রধান আসামী মো. শামসুজ্জামান মৌজুদী উরফে আস্কর মোল্লা (৪২)কে গ্রেফতার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। গত সোমবার (১১এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে করিমগঞ্জের গাংগাইল ঈশাখাঁ পল্লী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে একাধিক নারী কেলেংকারীর মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী মো. শামসুজ্জামান মৌজুদী উরফে আস্কর মোল্লাসহ আরো অজ্ঞাত ৩জন গত ২৫মার্চ তারিখ (শুক্রবার) বিকাল চারটার দিকে আল-হেরা এম.সি,এস লিঃ কিশোরগঞ্জ এর আওতাভুক্ত ঈশাখাঁ পল্লীতে ওই সোসাইটির সভাপতি শেখ কাউছার আহম্মেদের কাছে সোসাইটির কর্মরত কর্মচারী ও মামলার স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় ১১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় প্রতিবাদ করায় বাদী কাউছার আহম্মেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে সোসাইটির সভাপতিকে মানহানীসহ বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার করে। এসময় সভাপতি উপস্থিত লোকজনের সহযোগিতায় কোন রকমে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে মূলহোতা আসামী আস্কর মোল্লাসহ তার সঙ্গীয় লোকজনের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাইলে তার সোসাইটি রক্ষার্তে এবং তার প্রাণ বাচাঁতে গত ২৭ মার্চ সভাপতি শেখ কাউছার আহম্মেদ নিজে বাদী হইয়া কিশোরগঞ্জ -৬ নং আদালতে তাদের বিরোদ্ধে শামসুজ্জামান মৌজুদী উরফে আস্কর মোল্লাকে প্রধান আসামী করে তিন জনের বিরোদ্ধে (দঃবিঃ ৩৮৫/৫০০/৫০৬)ধারা মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ-সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট রিজোয়ানা রশিদ মামলাটি করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এফ আই আর এর নির্দেশ দেন। ওসি দিপক চন্দ্র মজুমদার ও পুলিশ পরিদর্শক মো মুঈদ চৌধুরী (ওসি তদন্ত) এ দুইজনের সমন্বয়ে মামলাটি সরেজমিনে তদন্ত করে এফ আই আর হিসেবে (মামলা নং ২৬(৩)১৬ রেকর্ড করেন। সোমবার (১১এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে আবারও প্রধান আসামী আস্কর মোল্লা চাঁদা না পাওয়ার কারনে ওই ঈশাখাঁ পল্লীতে গিয়ে কর্মরত কর্মচারীদেরকে হুমকি-ধামকি দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওসি তদন্ত মোঃ মুঈদ চৌধুরী তার ফোর্স নিয়ে মামলার প্রধান আসামী শামসুজ্জামান মৌজুদী উরফে আস্কর মোল্লাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে অনেক লোককে চিঠির মাধ্যমে মানহানীকর বক্তব্য প্রকাশ করে চাঁদা দাবী করে। সে তার নিজ গ্রামের বাড়ী মিটামইনের কাঁঠকাল থেকে নারী কেলেংকারী ও বিভিন্ন প্রতারনার দায়ে এলাকা ছাড়া হয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের ছয়না এলাকায় আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। এমনকি সে নিজেকে বিভিন্ন কোম্পানীর এমডিও মাদ্রাসার প্রিন্সীপাল দাবী করে ভিজিডিং কার্ডের মাধ্যমে কৌশলে টাকা আদায় করে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তার এহেন অপকর্মের কারনে কিশোরগঞ্জ উলামা কেরাম ও সাধারণ জনগণ ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে।