অফিসে কাজকর্ম ছাড়াও আরও ‘অনেককিছুই’ হয়ে থাকে! এই রে ভাবছেন, জ্ঞান দিচ্ছে! না জ্ঞান নয়, ফ্রিতে পরামর্শ দিচ্ছি।
অফিসে সকলে কাজ করতেই যায়। কিন্তু কাজের বাইরেও আরও কিছু হয়ে যাখে, যা নিজে জড়িত না থেকেও অনেক সময় ফাঁদে পড়ে যান। আবার বুঝে উঠতে পারছেন কোন সময়ে কী করা উচিত। নতুন মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে অছিলায় কথা বলতে গিয়ে বিরাট কেস খেতে পারেন। কাজের জায়গায় সম্পর্ক গড়ে উঠলে, পারিপাশ্বিক নানা চাপ বাড়ে। তা কাটিয়ে উঠতে গেলে সামান্য ঝুঁকি তো নিতেই হয়।
কী কী করবেন আর করবেন না, তারই একটা লিস্ট দেওয়া হল, শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।
১. সহকর্মীদের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনও শেয়ার করবেন না। কারণ এইসব বিষয়গুলি নিয়ে শুরু হয় একটা স্বাস্থ্যকর গসিপ। যা আপনাকে মানসিক অস্থিরতায় ভোগাতে পারে।
২. আপনাকে অনেককেই বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাদের জন্য নিজের ভালোবাসার সম্পর্কের ওপর বিশ্বাস হারাবেন না।
৩. নিজের পার্সোনালিটি পরিবর্তন করবেন না। স্ত্রী বা স্বামী যদি একই অফিসে কাজ করেন, তাতেও কোনও পরিবর্তন না আনাই শ্রেয়। কারণ, আপনার কেরিয়ার বা সাফল্য হবে পার্সোনালিটির ভিত্তিতেই।
৪. তেমন যদি সমস্যা হয়, তবে অন্য কোম্পানিতে কাজ খুঁজে নিন। দেখবেন ঘরের বাইরে ও বিতর ব্যালান্সড থাকবে।
৫. অফিসে কেউ যদি সরাসরি ডেটিং যাওয়ার প্রস্তাব দেন, তাহলে তার সঙ্গে না যাওয়াই ভালো।
৬. নিজের সিক্রেটগুলি নিজের মধ্যেই রাখতে চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, নিজের মতো করে সহকর্মীদের আয়ত্তে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। দেখবেন কেল্লা ফতে!
৭. ইমোশনাল লেভেল আর পার্সোনাল লেভেল আলাদা রাখুন। দেখবেন খুব সহজ হয়ে যাবে।
৮. অফিসের কোনো নির্দিষ্ট আড্ডার জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি সরে যাবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো করে মিশতে থাকুন।
৯. ভালো শ্রোতা হলেন একজন ভালো সহকর্মী। নিশ্চয় নিজের কথা শেয়ার করবেন। তবে বিপরীতে যিনি বসে আছেন, তিনি যে বোবা, এটা ভাবা একদম ভুল।- ওয়েবসাইট।