আচরণবিধি লঙ্ঘনে দামপাড়ায় সব প্রার্থীকে জরিমানা

বিশেষ প্রতিনিধি ।।
গত ৯ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচ্য বিষয় ছিলো নির্বাচনী আচরণবিধি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে আচরণবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ। উপস্থিত ছিলেন ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। সেদিন নিজ থেকে সবাই সম্মত ছিলেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে।

কার্যত এই সভার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের খবর আসতে থাকে। যারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না, এমন কেউও বিশেষ দলীয় প্রচারণা সভায় অংশ নিচ্ছেন। সভা-সমাবেশ করার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া আছে আচরণ বিধিমালায়। তারও লঙ্ঘন হচ্ছে বার বার। বলা আছে, কি ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে; কি ধরনের জমায়েতে আগে থেকেই প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

প্রচারণার অন্যতম বড় মাধ্যম হচ্ছে পোস্টার, লিফলেট ইত্যাদি। এখানেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে কোথায় এগুলো ব্যবহার করা যাবে। কোথায় করা যাবে না। নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নে কেবলমাত্র পোস্ট সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে চেয়ারম্যান পদে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ৫ জন। গতকাল ভ্রাম্যমান আদালত এই ইউনিয়নে গিয়ে দেয়ালে পোস্টার লাগানোর অপরাধে চেয়ারম্যান প্রার্থী সবাইকে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রত্যেককে অর্থ জরিমানা করেন। এবং মেম্বার প্রার্থীদের ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা করে প্রত্যেককে অর্থ জরিমানা করেন। পরে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ উদ্যোগে দেয়ালে লাগানো সব পোস্টার সরিয়ে নেন।

ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লিংক
UP_bidhimala
দামপাড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন আবু তাহের (আওয়ামীলীগ), ধানের শীষ নিয়ে মানিক সওদাগর (বিএনপি), চশমা প্রতীকে মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মটর সাইকেল প্রতীকে লতিফুল হক কানন (স্বতন্ত্র) এবং আনারস প্রতীকে লড়ছেন আহাম্মদ আলী (স্বতন্ত্র)।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই সব প্রার্থী নিজ নিজ উদ্যোগে দেয়ালে লাগানো পোস্টার ও প্রচারণামূলক প্রকাশনা সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে উঠে।

Similar Posts

error: Content is protected !!