ডায়াগনস্টিকের উপকার এখন রেডিওলজিক্যাল ঝুঁকিকে উতরে যাওয়া দরকার। বিগত ৩০ বছরে সিটি স্ক্যানের ব্যবহার বেড়েছে ২০ গুণ। সাধারণ এক্স-রের চেয়ে সিটি স্ক্যানে ছবি আরো বিস্তারিতভাবে পাওয়া গেলেও এর একটা বিপ্রতীপ দিকও আছে। কারণ CT (Computed tomography) scan-এর সময় অনেক গুণ বেশি বিকিরণ সংঘটিত হয়। নতুন পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, সিটি স্ক্যানের সময়ে কোনো কোনো রোগীর দেহে উঁচু মাত্রার বিকিরণ প্রয়োজন হয়। আর এ জন্য দরকার দীর্ঘ সময়। এ ধরনের স্ক্যান অপরিহার্য নয়।
মেলবোর্নের রেডিওলজিস্ট ড. লরেন্স লাউ বলেছেন, সিটি স্ক্যান শুধু তখনই ব্যবহার করা প্রয়োজন, যখন রোগীর রোগ নির্ণয় নির্ভর করে শুধু ইমেজিংয়ের ওপর।
উল্লেখ্য, ড. লরেন্স লাউ ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি কোয়ালিটি নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান। তিনি আরো বলেন, যদি সিটি স্ক্যান একান্তই প্রয়োজন হয়, তবে তা এড়িয়ে যাবেন না। এর অর্থ হচ্ছে, যদি সমস্যাটি ধরার জন্য ইমেজিং না করে দেরি করে তা ধরা যদি আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে, তবে সিটি স্ক্যান করা থেকে বিরত থাকবেন না। আমরা এমন অপেক্ষা করতে পারি না যাতে করে রোগ আরো খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
সিটি স্ক্যান একটি অগ্রসর মানের প্রযুক্তি। অপ্রয়োজনীয় বিকিরণ শরীরে গ্রহণ না করে নিচের নিয়মগুলো মেনে চলুন-
* সিটি স্ক্যান আপনার জন্য উপকারী কি না সে ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
* পিঠের ব্যথার মতো কোনো রোগের জন্য সিটি স্ক্যান একদম দরকার নেই।
* পরীক্ষা করে দেখেন কম বিকিরণের বিকল্প কোনো টেস্ট করে রোগ নির্ণয়ে তথ্য পাওয়া যায় কি না। নিউরোলজিক্যাল ও মেরুদণ্ডের সমস্যার জন্য একটি ‘ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) অপেক্ষাকৃত ভালো পরীক্ষা।
* আপনার শিশুর যদি সিটি স্ক্যান প্রয়োজন হয়, তবে টেকনিশিয়ানকে মোট দুইবার চেক করতে বলুন। এবং সেটিং অ্যাডজাস্ট করতে বলুন পেডিয়াট্রিক পরীক্ষার মাত্রার সাথে। এ পরীক্ষায় শিশুদের স্ক্যানের সময় কম বিকিরণে ভালো ছবি পাওয়া যায়।