আবদুল্লাহ আল মহসিন ।।
হাওরে ধানকাটা শুরু হয়েছে পুরোদমে। একফসলী জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি আরো নানান ফসল উৎপন্ন হয়। কিশোরগন্জের নিকলীর হাওরে এ সময় বাদাম তোলারও সময়।
উপজেলার ধনু ও ঘোড়াউত্রা নদীর জেগে ওঠা চরে হাজার হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়। বর্ষার পানি নেমে গেলে পলল ভূমিতে চাষীরা বাদামের বীজ রোপন করেন। পাঁচ-ছয় মাসেই জমিতে বাদাম উৎপন্ন হয়। উপরে সবুজ লতানো গাছ নিচ থেকে উপড়ানো হলেই সোনালী রংয়ের বাদাম বেরিয়ে আসে। এ যেন মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্ত ধন! বর্তমান বাজারে প্রতিমণ বাদাম ২ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। কিন্তু খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
কথা হলো উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বাদাম চাষীদের সাথে। পূর্বগ্রামের চাষী নূরুল ইসলাম জানান, ধান এবং বাদাম একই সাথে চাষ করার ফলে একই সাথে ২ ফসল ঘরে তুলে আনতে চাষীদের খরচ বেশি হয়ে যায়। তার মতো আরো অনেক কৃষক কৃষি উৎপাদন খরচ সরকারিভাবে কমানোর দাবি জানান।
কামালপুরের কৃষক আবু তাহের মিয়া বলেন, এ বছর হাওরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদি ন্যায্য দামে বিক্রি করা যায় তবে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।