নির্বাচনী চাপে নিকলীতে ভাড়ায়ও মাইক মিলছে না

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। তবে বেশি ভাড়া দিয়েও মাইক মিলছে না। এতে অনেক প্রার্থী বেকায়দায় পড়েছেন।

স্থানীয় মাইক দোকানিরা বলেন, ৭ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা মাইক ভাড়া করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। অনেক প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের আগেই মাইক বুকিং দিয়ে রেখেছেন। প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় একটি মাইক ভাড়া দেওয়া হয়। কোনো কোনো প্রার্থী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মাইক ভাড়া নিয়ে রেখেছেন।

যাঁরা একটানা ভাড়া নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাড়া কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে। সংকট দেখা দেওয়ায় কটিয়াদী ও বাজিতপুর উপজেলা থেকেও মাইক এনে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিকলী উপজেলায় ১০টি মাইকের দোকান আছে। নির্বাচনের সময় দোকানিরা ভাড়া একটু বেশি নেন। বর্তমানে বেশি ভাড়া দিয়েও মাইক মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ সদস্যপদের প্রার্থীরা। নিকলী সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নিকলীর ১০টি দোকানে গিয়েও মাইক ভাড়া করতে পারিনি। ৭ এপ্রিল থেকে প্রচারণা শুরু হলেও আমি এখনো প্রচারণার জন্য মাইক রাস্তায় নামাতে পারিনি। আমার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীও মাইক ভাড়া পাচ্ছেন না।’

৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে কোথাও মাইক ভাড়া পাইনি। আমি যে প্রার্থী হয়েছি, প্রতীক পেয়েছি, সেটা কাউকে জানাতে পারছিলাম না। অনেক ভোটারই জিজ্ঞেস করছিলেন, “ভাই, আপনার মাইকিং হচ্ছে না কেন?” অনেক কষ্টের পর ১৫ এপ্রিল বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া বাজার থেকে একটি মাইক ভাড়া করতে পেরেছি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রত্যেক প্রার্থী প্রচারের জন্য বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৮০ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ২১৭ প্রার্থী রয়েছেন।

সূত্র : প্রথম আলো, ১৮ এপ্রিল ২০১৬

Similar Posts

error: Content is protected !!