আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কারার ইফতেখার আহমেদ আরিফ। নিকলী বিএনপির একজন দলীয় সদস্য। এক সময় স্থানীয় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তৎকালীন নিকলী-বাজিতপুরের বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য মরহুম মজিবুর রহমান মঞ্জুর হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই থেকে নিকলী বিএনপির সাংগঠনিক কাজের সাথে জড়ানো।
তিনি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিকলী সদর ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী। দ্বিতীয়বারের মতো এবার তিনি লড়ছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। ১৯ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোয় নিকলী সদর ইউনিয়ন নির্বাচনের একটি সংবাদ প্রকাশ করে “চাচা-ভাতিজার লড়াই” শিরোনামে। উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কারার ইফতেখার আহম্মেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রকৃতপক্ষে নিকলী সদর ইউনিয়নে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন হারুন আল কাইউম।
কথা হয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হারুন আল কাইউমের সাথে। তিনি মুঠোফোনে জানান, সংবাদটি সম্পর্কে আমি শুনেছি; নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণে দেখার সুযোগ হয়নি। নিজে থেকে না পড়ে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
আমাদের নিকলী ডটকম-এর পাঠকদের জন্য প্রথম আলোর সংবাদের হুবহু তুলে ধরা হলো :
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চাচা-ভাতিজা লড়াই করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত কারার বুরহান উদ্দিন ও তাঁর ভাতিজা বিএনপির প্রার্থী কারার ইফতেকার আহম্মেদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুরহান উদ্দিন সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি পরপর দুবার এ ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর ভাতিজা একই ইউনিয়নের বিএনপির সমর্থক। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী।
এ ছাড়া এ ইউপিতে বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন আক্তার হোসেন।
গতকাল সোমবার জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যাঁরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটির নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ উপজেলার সাতটি ইউপিতে তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদটি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত