কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে বিল নিয়ে চলছে ভুতুরে কাণ্ড। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও আবার সেই বিল পরিশোধ করার জন্য নতুন করে বকেয়া বিলসহ নতুন বিল পাঠিয়ে গ্রাহকদের অযথা হয়রারি, দুর্ভোগ ও মাসনিকভাবে যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে। আবার সেই সাথে যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়া হয়।
জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার ভোগপাড়া গ্রামের রিপন ঘোষ হিসাব নভেম্বর ২০১৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত যথারীতি বিল পরিশোধ করেছেন। তা সত্ত্বেও তাকে আবার বিল পরিশোধ করার জন্য মার্চ ২০১৬ বিলে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বার বার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও বিল সংশোধন না করে তা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
বনগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান মার্চ ২০১৬ মাসের ১০৪০ ইউনিটের বিল ৩২০২ টাকা গত ১৮ এপ্রিল পরিশোধ করেন। একই মাসের অর্থাৎ মার্চ ২০১৬ মাসের হাতে লেখা ৯৫ ইউনিটের ৪৪৪ টাকার আরেকটি বিল ধরিয়ে দিয়ে বলে পরিশোধের জন্য। না হয় যে কোন সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।
কটিয়াদী পৌর এলাকার চারিয়া গ্রামের হিরু মিয়া একজন সাধারণ কৃষক। প্রায় সময়ই সর্বনিম্ন বিল দিয়ে আসছেন। জানুয়ারি ২০১৬ তাকে বিল দেয়া হয়েছে ৬০ (ষাট) ইউনিটের, টাকা ২৭৬। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনিট ৬৩৫, টাকা ৪ হাজার ৩৫৬ এবং মার্চ ২০১৬ বিল দেয়া হয়েছে মাত্র ৫ ইউনিটের ১০৫ টাকা। এই ভুতুরে বিল পেয়ে হিরু মিয়া হতবাক। কৃষক হিরু মিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়ে বার বার ধরনা দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।
কটিয়াদী পল্লীবিদ্যুৎ অফিস অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো কাজই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় না। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, মিটার পরিবর্তন ও বিল সংশোধন সব কাজেই দালাল ধরতে হয়। দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। গ্রাহকগণ এখন এই দুষ্টচক্র ও দালালদের হাতে জিম্মি।
একই মাসের একাধিক বিল গ্রাহককে পরিশোধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে কটিয়াদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো: মস্তোফা কামাল মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।