যৌতুকের বলি এক সন্তানের জননী ইতি, বিচার দাবিতে মানববন্ধন

বাজিতপুর সংবাদদাতা ।।
বাজিতপুরে যৌতুকের জন্য জীবন গেল গৃহবধূর। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের এক তরুণী গৃহবধূকে হত্যার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা আম গাছে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনা ভিন্ন খাতে ফেরানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
eti
দেড় বছর আগে শিমুলতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জন মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ সোহাগের সাথে বিয়ে হয় দড়িকান্দির লায়েছ সেলিমের ছোট মেয়ে ইতি আক্তারের। যৌতুক বাবদ বিয়ের পর ইতির বাবা জামাই সোহাগকে মোটর সাইকেল ও নগদ পাচ ভরি স্বর্ণ দেন। কিছু দিন পর এগুলো বিক্রি করে ইতির জামাই মোঃ সোহাগ বিদেশ চলে যায়। সোহাগ বিদেশ যাওয়ার পর আরও পাচ লক্ষ টাকার জন্য শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা নির্যাতন চালাত নববধূ ইতির ওপর। পরবর্তীতে বাড়ি থেকে ইতি ২ লক্ষ টাকা এনে দিলেও বাকী ৩ লক্ষ টাকার জন্য প্রতিনিয়ত ইতির ওপর নির্যাতন চালাত শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। যৌতুকের বাকী টাকার জন্যেই ইতিকে গলাটিপে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি করছেন ইতির পরিবার ও এলাকাবাসী। এ নিয়ে নিহত তরুণী গৃহবধূর বড়ভাই মোঃ শহীদুল্লা বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় গত সোমবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
eti2
ময়নাতন্ত্রের জন্য গৃহবধু ইতির লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা বিষয়ে পুলিশ জানায়, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পরেই তা জানা যাবে।

এদিকে বাজিতপুরের নিরাপরাধ, শান্ত স্বভাবের গৃহবধূ ইতি হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাসির দাবিতে গত বুধবার (২০ এপ্রিল) মানববন্ধন করেছে বাজিতপুরের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। উক্ত মানববন্ধনে সাধারণ মানুষেরাও অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা অচিরে দোষীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাসি দাবি করেন।

Similar Posts

error: Content is protected !!