আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষার জন্য নির্মিত বাঁধের কার্যকারিতা না থাকায় অকাল বন্যায় হাওরের ইরি-বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে হাওরাঞ্চলবাসী। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
হাওরাঞ্চলবাসীর দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সমমনা সংগঠন বাপা, গ্রিন ভয়েস, রিভারাইন পিপল, নোঙর ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনও এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
হাওর অঞ্চলবাসীর অন্যতম সংগঠক হাবিব রাজার সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- হাওর অঞ্চলবাসীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, হাওরাঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান, সংগঠক জাকিয়া শিশির, বাপার সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন, রিভারাইন পিপল-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রোকন, নোঙর-এর সুমন শামস, গ্রিন ভয়েস-এর আলমগীর হোসেন, নদী বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আনোয়ার সাদাত, সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের প্রকৌশলী ড. নিয়াজ পাশা, প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, সাংবাদিক আলমগীর শাহরিয়ার, বোরহান আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগাম বন্যার কারণে হাওর অঞ্চলের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের সাত জেলায় ইরি-বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই বন্যা থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য সরকারি অর্থে যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল, সেগুলো অকার্যকর হওয়ায় এবং তা সঠিক সময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার না করায় কৃষকেরা এই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া পরিকল্পনাহীন ও দায়সারাভাবে বাঁধগুলো নির্মাণ করায় বাস্তবে তা কৃষকের কোনো কাজে আসছে না। ফলে কৃষকেরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তা পুষিয়ে দেয়া এখন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এছাড়া কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি বাঁধগুলো যথাযথ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। একই সঙ্গে যারা বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা করেছেন তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের বাজারমূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। ফলে হাওরের কৃষকেরা এমনিতেই দিশেহারা, এর মধ্যে আগাম বন্যা মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অবস্থায় হাওরের কৃষকদের রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।
সূত্র : বাংলানিউজ