বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।
দেশব্যাপী নৌ পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ডিপোতে জ্বালানী তেল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সোমবার থেকে ১২ জেলায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। জাহাজ থেকে তেল ডিপোতে উত্তোলন করতে না পারায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তেল সরবরাহের ব্যবস্থা না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তেল ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যাহত হতে পারে বিভিন্ন যান চলাচল।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে লাইটার জাহাজে আসা জ্বালানি তেল ভৈরবের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোতে উত্তোলন করা হয়। পরে এ জ্বালানি তেল ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ১২ জেলায় সরবরাহ করা হয়। ভৈরবের তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সড়কপথে নিজস্ব ট্যাংকলরি ও নদীপথে হাওরাঞ্চলে ট্রলারযোগে এসব তেল পাম্পসহ খুচরা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী চলা নৌ-ধর্মঘটের কারণে ভৈরবের এ তিনটি ডিপোতে জাহাজ থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার জাহাজ থেকে উত্তোলিত তেলের মজুদও এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে ডিপোগুলো তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিটি ডিপোর জন্য আসা ৩০ থেকে ৩৫ লাখ লিটার তেল নিয়ে ৫টি জাহাজ নদীতে ভাসছে।
ভৈরব জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, ডিপোতে জ্বালানি তেলের মজুদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে তাদের কয়েকশ ট্যাংকলরি ডিপোগুলোর সামনে বসে সময় পার করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ডিলারদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। তারা মানসিক এবং আর্থিক দুই ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান চান তিনি।