বৈশাখ মাসের প্রখর রোদে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের কিষাণিরা। শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাড়ির পুরুষরা ডুবন্ত মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে আসছেন। ধান মাড়াই শেষের কাজটুকুতে হাত লাগান পরিবারের মহিলা সদস্যরা। কষ্টকর কাজ হলেও বেশ আনন্দ নিয়ে তারা ধান ও খের শুকানোর কাজটা সেরে থাকেন। কৃষকরা বলছেন, এখন যেমন রোদ আছে তা যদি আরো ৮-৯ দিন একনাগাড়ে থাকে তবে যেটুকু ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে তা গোলায় উঠানো সম্ভব হবে।
এ বছর আগাম বন্যায় হাওরের বহু একর জমি তলিয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক ধান উঠানো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ফলাতে ধাপে ধাপে সারাবছর যে পরিমাণ খরচ হয়েছে বর্তমান বাজারমূল্যে ধান বিক্রিতে তা উঠানো কষ্টকর। তার ওপর এই বৈরী পরিবেশে ধান কাটায় দাওয়ালদের অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে নতুন করে ঋণের বোঝা টানতে অপারগ তারা।