নিজস্ব সংবাদদাতা ।।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সিম নিবন্ধনের সময়সীমা ছিলো ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এদিন বিকাল ৫টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, সিম পুনঃনিবন্ধনের চলতি কার্যক্রম আরো এক মাস বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনো নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের জন্য সুখবরই বলা চলে।
সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে এরই মধ্যে গ্রাহকরা পড়ছেন নতুন নতুন বিপত্তিতে। বলা হয়েছে, এ পদ্ধতি পুনঃনিবন্ধনে গ্রাহককে অতিরিক্ত কোনো ফি দিতে হবে না। কিন্তু যারা মোবাইল অপারেটরের অফিসে না গিয়ে নিবন্ধন করছেন তারা এ কাজের সাথে জড়িতদের অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকার পরিমাণ ক্ষেত্রবিশেষে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে।
বাড়তি ফি আদায়ে সমস্যায় পড়েছেন সবচে বেশি গ্রামাঞ্চলের ব্যবহারকারীরা। তাদের কাছে এই ফি রীতিমতো “আদায়” করে নেয়া হচ্ছে। ভাবটা এমন যেন, এটি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ফি! নিকলী উপজেলার মোবাইল ফোন গ্রাহকরা প্রতি সিম নিবন্ধনে বিশ থেকে ত্রিশ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হয়। ৩০ এপ্রিল সিম নিবন্ধনের শেষ তারিখ হওয়ায় রিটেইলার কার্যালয়গুলোতে গত ২দিন যাবত প্রচণ্ড ভীড় ছিল।
দামপাড়া গ্রামের সোহেল মিয়া জানান, আমি ৩টি সিম ৬০ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করেছি। সরেজমিনে উপজেলার নিকলী, দামপাড়া, মজলিশপুর, সিংপুর, রোদার পুড্ডা বাজার রিটেইলার কার্যালয়ে গিয়ে টাকা নিয়ে সিম নিবন্ধনের সত্যতা পাওয়া যায়। শাহজাদ আলী নামে এক গ্রাহক জানান, আমার কাছ থেকে প্রতি সিম ৪০ টাকা করে চেয়েছে। রীতিমতো দরদাম করে সিমপ্রতি ২০ টাকা করে দিয়েছি।