বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও লোকসানে কৃষক

nikli hosainpur boro

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকদের মণপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে গড়ে ২৫০ টাকা। ফলে ধানের দাম কম থাকায় চাষিদের উৎপাদন খরচ উঠছে না। এতে লোকসানে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কৃষকেরা।

সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধরা হলেও বাম্পার ফলন হওয়ায় ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার (৩ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই আমন ধান মাড়াইয়ের হিড়িক পড়েছে। কৃষকেরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকার হাট-বাজারগুলোতেও নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে।

nikli hosainpur boro

উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোঃ নবু মিয়া, আবুল কামাল, সাহেবের চর গ্রামের কৃষক বাদল মিয়া, চর-হাজিপুর গ্রামের কৃষক আলী হোসেন, কাঞ্চন মিয়াসহ কয়েকজনের মাড়াইকৃত ধান পরিমাপে দেখা যায়, গড়ে হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মেঃটন। বীজ ক্রয়, জমি প্রস্তুত, সার-কীটনাশক, সেচ, তেল ও শ্রমিক মজুরীসহ ধানের মোট উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে মণপ্রতি ৬৫০-৭০০ টাকা। অথচ বাজারে এ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৫২০ টাকায়। তারা ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত। ধানের দাম কমপক্ষে ৭৫০-৮০০ টাকা হলে কৃষকেরা লাভবান হবেন। তাই এবার আমনের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল আহসান জানান, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শে এ বছর বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য কম থাকায় কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Similar Posts

error: Content is protected !!