আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
রাজা বিয়ে করবেন। বছর বছর নতুন রাণি আসবে তার ঘরে। এমন রীতি আজো বিদ্যমান বিশ্বের কোনো কোনো জায়গায়। প্রতিবছর রাণি নির্বাচনে আয়োজনও করা হয় অঞ্চলভেদে নানান রকমের অনুষ্ঠানের। এক ব্যতিক্রম রাণি বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে এই লেখা।
প্রতিবছর রাজা একজন করে নতুন রাণি বেছে নেন। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে। তার জন্য প্রকাশ্যে পরীক্ষা করা হয় নাবালিকাদের কুমারিত্ব। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে একজনকে রাণি হিসেবে মনোনীত করেন খোদ রাজা।
আরব্য রজনীর গল্প নয়। বাস্তব এই ঘটনা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডে। আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে সোয়াজি উপজাতি অধ্যূষিত এই ছোট্ট দেশটার অবস্থান। দেশের সিংহাসনে আসীন রাজা তৃতীয় সোয়াতি। প্রচলিত রীতি হলো‚ বছরের নির্দিষ্ট সময়ে রাজা নতুন রাণি বেছে নেবেন।
সেই উপলক্ষে রাজার সামনে অবিবাহিতা নাবালিকারা ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে প্যারেড করেন। এরপর শুরু হয় উমহ্লাংলা উৎসব। রাজার সামনে নাচ-গানে মেতে ওঠে ওই টপলেস-কনেরা। তারপর প্রকাশ্যে ওই মেয়েদের কুমারিত্ব বা ভার্জিনিটি পরীক্ষা করা হয়।
আন্তর্জাতিক মহলে এই রীতি নিন্দনীয় হলেও সোয়াজিল্যান্ডে কোনো পরিবর্তনের চিহ্ন চোখে পড়েনি। সোয়াতি তৃতীয়’র বাবা রাজা দ্বিতীয় সোভুজার ১২৫ জন রানি ছিলো। গত বছর ১৫ জন স্ত্রী‚ ৩০ জন কচিকাঁচা এবং শতাধিক পরিচারক নিয়ে ইন্ডিয়া আফ্রিকা সামিটে এসে ভারতে অতিথি হয়েছিলেন রাজা তৃতীয় সোয়াতি। তিনি বিশ্বের ধনকুবের শাসকদের মধ্যে অন্যতম।