জি আর শিপন, মহাস্থান (বগুড়া) সংবাদদাতা ।।
বগুড়ার মহাস্থানে ত্রীমোহনী উপজেলা গেট সংলগ্ন এলাকায় নামেমাত্র একটু বৃষ্টি হলেই শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ে প্রবেশের প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এখানে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। সড়কে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে মহাস্থানগড়ে ভ্রমণে আসা পর্যটক, মাজার জিয়ারতকারী মুসল্লি ও গাড়ি চালকদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
রাস্তায় পানি জমে সাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় রাস্তার দু’পাশে শতশত ব্যবসায়ীর রুজির পথও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শুধু তাই নয়, মহাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, আলিম মাদ্রাসা, মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজ, দি মোর্নিং সান কেজি স্কুল, ইকরা মডেল কেজি স্কুল ও মকবুল হোসেন আদর্শ কেজি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সহজ এই রাস্তাটি জলাবদ্ধতার কারণে চলাচল করতে না পেরে তারাও পড়েছে ভোগান্তির কবলে। ফলে এসব ছাত্রছাত্রী প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে পাড়ি জমাচ্ছে।
শনিবার ১৪ মে দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী সড়কে জমে থাকা নোংরা পানির মধ্য দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছে। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানান, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান হাটের কাছ থেকে যে সড়কটি শিবগঞ্জ উপজেলার দিকে গেছে, সেটিই শিবগঞ্জ-মহাস্থানগড়ে প্রবেশের প্রধান সড়ক। ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়কে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে প্রসিদ্ধ বাজার। এই বাজারের কাছের সড়কটির ৫০০ ফুট এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক এই সড়কটির চেয়ে অনেক উঁচু। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক থেকে ও মাজারের উঁচু স্থানগুলো গড়িয়ে শিবগঞ্জ-মহাস্থানগড় সড়কে এসে জমাটবদ্ধ হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে তৎকালীন পানি নিস্কাশনের জন্য একটি ড্রেন নির্মাণ হলেও তা বর্তমানে অযত্ন অবহেলায় ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। গ্রীষ্মকালে যথা সময়ে ড্রেনটি পরিষ্কার করে সচল না রাখার কারণেই এ সমস্যার দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী এই প্রতিনিধিকে জানায়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে সড়ক হলেও কর্তৃপক্ষের কোন সুদৃষ্টি পড়েনি। তাই পথচারীদের মাথাই ঘাঁ অবস্থা এ সমস্যা দ্রুত নিরসনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ এবং সড়কের কিছু অংশ উঁচু করার ক্ষেত্রে এলাকাবাসী সওজের সহায়তা ও মাননীয় সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।