বারো মাসে বারো ফল, আর মধুমাসেই বারো ফল

modhu month

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
লোককথা অনুযায়ী দাদা-দাদি, নানা-নানীর মুখে শুনেছি ১২ মাসে ১২ রকম ফল, আর এই মধু মাসেই ১২ রকমের ফল। আজ সোমবার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে মধুমাসের ফলের মহা উৎসব। ফলফলাদির সমারোহ দেখে সত্যিই মনে হয় আবার এলো মধুমাস। বাসস

বাংলা অভিধানে মধুমাস শব্দের অর্থ হলো- চৈত্র মাস। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়ে কোনো কিছু লিখতে গিয়ে লেখা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। এভাবেই জ্যৈষ্ঠ মাসের সাথে মধুমাস বিশেষণটি জড়িয়ে গেছে। অভিধানের মধুমাস অভিধানেই আছে। কিন্তু লোকমুখে এখন জৈষ্ঠই যেন আসল মধুমাস। যদিও এ কথা কারো অজানা নয়, মধু থাকে ফুলে, ফলে নয়। ফাল্গুন-চৈত্র বসন্ত কাল। এ সময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বাংলার প্রকৃতি। বৈশাখ-জৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল। বসন্তের ফুল ফলে পরিণত হয় গ্রীষ্মে এসে।

ছয় ঋতুর বাংলাদেশের প্রকৃতির এ রূপের বদল সত্যি বড় বৈচিত্র্যময়। গ্রীষ্মের শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ, এ মাসে ফল পেকে রসের ভারে টইটম্বুর হয়। এদিকে পরিপক্ব হওয়ার আগেই কৃত্রিমভাবে পাকিয়ে ফরমালিনযুক্ত কিছু কিছু ফল বাজারে আসছে। এসব অপরিপক্ব ফল কর্তন করে বাজারে বিক্রি করছেন অধিকতর মুনাফালোভী কিছু খামারি। আগাম বাজারে আসা ফলের দাম অধিক পাওয়া গেলেও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্রেতারা। আবার কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় সংগ্রহ করে বাগানেই বিষাক্ত ইথিলিন দিয়ে পাকানো হয়।

বাজারের একজন ক্রেতা আনিসুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, আজকাল যেসব ফল পাওয়া যায় তার অধিকাংশ বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হয়। এসব খেলে স্বাস্থ্যের খুব ক্ষতি হয়। চকচকে ফল যা দেখতে ভারি সুন্দর তা না কেনাই ভালো। তাই দেখে-শুনে ফল কিনে খাওয়া উচিত।

Similar Posts

error: Content is protected !!