মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল খ্যাত নিকলী উপজেলার জনমানুষের বহু প্রত্যাশিত নিকলী-করিমগঞ্জ সংযোগ সড়ক। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর রাষ্ট্রপতি আঃ হামিদ (নিকলী-করিমগঞ্জ) সংযোগ সড়ক নির্মাণে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে তৎকালিন মাননীয় স্পিকার আঃ হামিদ এবং তখনকার যোগাযোগ সচিব রেজাউল হায়াত এ সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে যথেষ্ট অবদান রাখেন এবং ওই অর্থবছরে এই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য একনেক কর্তৃক ৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদিত হয়েছিল। সেই সুবাদে সওজ অধিদপ্তর কর্তৃক নিকলী অংশে সোয়াইজনি নদীর ওপর ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তঃসড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ বেশ কয়েক বছর আগেই সম্পন্ন করা হয়। ইতিমধ্যে নিকলী থেকে করিমগঞ্জের গুণধর পর্যন্ত জমি শনাক্ত ও অধিগ্রহনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আফজাল হোসেন এ এলাকার লোকজনকে নিকলী থেকে গুণধর পর্যন্ত একটি ভাসমান রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে অঙ্গীকার অনুযায়ী এলাকার জনগণ তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। তার সেই ওয়াদা বাস্তবায়িত হতে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মনে বইছে এক ধরনের উৎসবের আমেজ। রাস্তাটি নির্মিত হলে কারপাশা, দামপাড়া, সিংপুর ইউনিয়নের মানুষদের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।
বর্ষায় এই তিন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যায়। সে সময় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। সে সড়ক নির্মাণের ফলে যেমনি বাড়বে শিক্ষার হার, তেমনি গড়ে উঠবে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। উপজেলা সদর থেকে কিশোরগঞ্জের যাতায়াতের সময় কমে আসবে।
রাস্তাটি নিয়ে সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাস্তাটি নির্মাণে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। রাস্তাটি টু ওয়ে আরসিসি ১৩ টুমিনাল হবে। যার দৈর্ঘ্য হবে ১৭ কিলোমিটার, উচ্চতা ১৬ ফিট। সম্পূর্ণ রাস্তাটি নির্মাণ করতে দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে। বহু প্রত্যাশিত রাষ্ট্রপতি আঃ হামিদ সড়ক নির্মাণে নিকলীর উপজেলা চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধি, অনলাইন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং জনগণ যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। যে কোন সময় হতে পারে রাস্তাটির শুভ উদ্বোধন।