কবির হোসেন, খালিয়াজুরী (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা ।।
আগাম বন্যায় ফসলহানির রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে বর্ষার প্রাদুর্ভাব। নিস্তার নেই হাওরের দুর্ভাগা মানুষগুলোর। বর্ষায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে যেতে হলে নৌকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার কল্যাণপুর থেকে কৃষ্ণপুরে যাতায়াতের রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। উক্ত রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। বিগত বছর বন্যার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দিন-রাত প্ররিশ্রম আর পানিতে পরে থেকে রাস্তাটি রক্ষা করা হয়। তারপরও বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়। চলতি বছর যৎসামান্য মাটি দিয়ে ফাটলগুলোকে সারানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত বছর রাস্তাটিতে মাটি দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিরক্ষার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। গত বছরের মতো এবারো আমরা নিজ উদ্যোগে, নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করছি। রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলে বাজারে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এবং বর্ষাকালে হাওরের ঢেউ সারাসরি বাড়িতে আছড়ে পড়বে।
সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জাকির হোসেন জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসূচীর আওতায় একটি প্রকল্প তৈরি করে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি মঞ্জুর হলে তিন লাখ টাকা পাওয়া যেতে পারে। তাতে কিছুটা সংস্কার কাজ পরিচালনা করা যাবে। আপাতত সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় সবাই মিলে বাস্তায় মাটি ভরে সাময়িক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করছি। সরকার স্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, কাঁচা প্রতিরক্ষা দিয়ে বছরের পর বছর রাস্তাটি রক্ষা করা সম্ভব নয়।